বিশ্বের সবচেয়ে স্থূলকায় মানুষ হওয়ার মিশনে নেমে বড় ধরনের বিপদে পড়েছেন এক নারী। মাঝপথে নিজের লক্ষ্য পরিবর্তন করতে হচ্ছে তাকে। কিছুদিন আগে ২৮ বছর বয়সী মনিকা রেইলি হঠাৎ করেই বুঝতে পারেন, তিনি গর্ভবর্তী। এরপর থেকে নিজের স্বাস্থ্য কমানোর মিশন শুরু করেছেন তিনি।
কীভাবে নিজের যৌনতা নিয়ন্ত্রণ করে- তা নিয়ে গত বছর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মনিকা। প্রতিদিন ১০ হাজার ক্যালোরি খাবার প্রয়োজন হয় তার। কিছুদিন আগেও এই নারীর ওজন ছিল ৫০ স্টোন বা ৩১৭ কেজি। একটি চোঙা দিয়ে খাইয়ে দিতে হয় তাকে।
এর আগে দুইবার গর্ভপাত হয়েছে মনিকার। এবার সুস্থভাবে একটি সন্তান দেয়ার জন্য নিজের ওজন কমাতে চাইছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বাসিন্দা মনিকা বলেন, ‘জীবনের এ সময় আমি বিশ্বের সবচেয়ে স্থূলকায় নারী হতে চেয়েছিলাম। আমি শুধু বিছানায় পড়ে থাকতে চেয়েছি এবং আরও বেশি খেয়েছি। কিন্তু এখন আমি সন্তানসম্ভবা। আমার জন্য একটি সতর্কবার্তা।’
গত বছরের গ্রীষ্মে প্রথমবারের মতো গর্ভবতী হন মনিকা। তখন নিজের অনাগত শিশুর কথা না ভেবে স্থূল হওয়ার মিশন অব্যহত রাখেন তিনি। ১২ সপ্তাহ পরে এক পরীক্ষায় দেখা যায়, তার ভ্রুণের একটি হাত এবং শরীরের নিচের অংশ নেই। পরে মনিকা এবং তার বয়ফ্রেন্ড সিদ আরেকটি বাচ্চা নেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ১৪ সপ্তাহের মাথায় তার গর্ভপাত হয়।
চলতি বছরের মার্চে মনিকা বুঝতে পারেন, তিনি আবারও গর্ভবতী হয়েছেন। বর্তমানে তার গর্ভধারণের ১৫ সপ্তাহ চলছে। এখন নিজের ওজন কমিয়ে আনতে চাইছেন এই নারী। আর কোনও সন্তান হারাতে চান না তিনি।
গত ১০ সপ্তাহে তার ওজন কমেছে ১৪ স্টোন। তিনি বলেন, ‘সন্তান লালন-পালনের মতো সক্ষম হতে চাই আমি। আমি ওকে লালন-পালন করতে চাই। ওর সঙ্গে প্রত্যেকটা মুহূর্তে জড়িয়ে থাকতে চাই। সেটা কখনোই সম্ভব হবে না, যদি আমি নড়াচড়া করতে না পারি।’
গো নিউজ২৪/ আরএস