আল আকসা মসজিদে জুমার নামাজ আদায়ের ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইসরায়েল। ৫০ বছরের কম বয়সী কোনও পুরুষকে মসজিদে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলে শুক্রবার ইসরায়েলি পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণবিক্ষোভের শঙ্কায় এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলের দখলকৃত পূর্ব-জেরুজালেমে এক গোলাগুলির ঘটনায় তিন ফিলিস্তিনি ও দুই ইসরায়েলি পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার পর আল আকসা মসজিদে নতুন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করে ইসরায়েল। এর বিরুদ্ধে এক সপ্তাহ ধরে প্রতিবাদ করে আসছে ফিলিস্তিনিরা। বৃহস্পতিবার মসজিদটিতে তাণ্ডব চালায় ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। গুলি করা হয় ইমামকে। গ্রেফতার হন ২২ ফিলিস্তিনি।
এই ঘটনাকে আল আকসা দখলে নিতে ‘ইসরায়েলের চক্রান্ত’ হিসেবে দেখছে ফিলিস্তিনিরা। পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পুরনো শহর ও টেম্পল মাউন্টে (আল আকসা) শুধু ৫০ বছর এবং তার বেশি বয়সী পুরুষরাই প্রবেশ করতে পারবেন। তবে সব বয়সী নারীদের প্রবেশাধিকার থাকবে।’
বৃহস্পতিবার আল আকসা মসজিদ নিয়ে ‘সীমা অতিক্রম না করতে’ ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলন হামাস। মসজিদটিতে নতুন করে ইসরায়েলি নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সেখানকার মুসল্লিদের প্রতি সংহতিস্বরূপ দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ চলছে গাজা উপত্যকায়। ২০০৭ সালে নির্বাচিত হয়ে বর্তমানে গাজা উপত্যকা শাসন করছে হামাস।
বৃহস্পতিবার দলটির রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ বলেন, ‘ইহুদিবাদী শত্রুদের আমি স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই: আল আকসা মসজিদ এবং জেরুজালেম হচ্ছে ‘রেড লাইন’ (সীমা)। সত্যিকার অর্থেই এটা সীমানা।’
তিনি আরও বলেন, ‘শত্রুদের আমি বলতে চাই, তোমাদের মসজিদ বন্ধ করার নীতি এবং জেরুজালেমের বাসিন্দা ও আমাদের পবিত্র স্থানে বসবাসকারী মানুষের বিরুদ্ধে সম্মিলিত সাজা আরোপ সহ্য করা হবে না।’
আল আকসায় ইসরায়েলের মেটাল ডিটেকটর সংযোজনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের মতো দিনব্যাপী বিক্ষোভ করেছে হামাস, ইসলামিক জিহাদ এবং অন্য ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলো। একে ‘ইসরায়েলি আগ্রাসন’ অভিহিত করে হুঁশিয়ারি দিয়েছে দলগুলো।
গো নিউজ২৪/ আরএস
