ভারতের দিল্লীর এক দরজি ১২ বছরে ৫০০ স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে! পুলিশের কাছে এমনি এক বিস্ফোরক জবানবন্দি দিয়েছেন ৩৮ বছর বয়সী ঐ ব্যক্তি। তার নাম সুনীল রাস্তোগ, সে পেশায় দরজি। এছাড়াও সুনীল প্রায় আড়াই হাজার শিশুকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করেছিলেন।
সোমবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নিউ অশোক নগর থানার উপপরিদর্শক সন্দীপের নেতৃত্বে একটি দল শনিবার দিল্লির কল্যাণপুরী থেকে পুলিশ সুনীলকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁর বাড়ি উত্তর প্রদেশের রামপুরে।
পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে সুনীল স্বীকার করেছে যে সে গত ১২ বছরে অন্তত আড়াই হাজার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করেছিলেন। এ সব ঘটনার কারণে ২০০৬ সালে উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপুরে তিনি ছয় মাসের কারাভোগও করলেন। তিনি দিল্লি, উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরাখণ্ডের স্কুল থেকে ছুটির পর বাড়ি ফেরা মেয়েদের যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করতেন।
সম্প্রতি স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ১০ বছর বয়সী এক মেয়েকে যৌন নির্যাতন করেন সুনীল। এই অভিযোগে গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চালানো হয়। এ ছাড়া ১২ জানুয়ারি নিউ অশোক নগর থানায় অভিযোগ করে যৌন নির্যাতনের শিকার দুই মেয়ে। যৌন হেনস্তার শিকার নয় ও ১০ বছর বয়সী দুই স্কুল শিক্ষার্থীর অভিযোগ, তারা প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফিরছিল। এমন সময় দরজি সুনীল তাদের নতুন পোশাক দেওয়ার লোভ দেখিয়ে নির্মাণাধীন একটি ভবনের সিঁড়ির পেছনে নিয়ে যান। সেখানে তিনি তাদের যৌন নির্যাতনের চেষ্টা চালান। পরে চিৎকার করলে সুনীল পালিয়ে যান।
পুলিশ বলছে, জিজ্ঞাসাবাদে সুনীল স্বীকার করেছেন, ২০০৪ সাল থেকে তিনি শিশু যৌন নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০০৬ সালে সেখানে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছয় মাসের জেল হয় তাঁর। সে প্রতি সপ্তাহে একদিন কাজের খোঁজে দিল্লি আসতো। এ সময় সে স্কুল পড়ুয়া কোনো মেয়েকে লোভ দেখিয়ে নির্জনস্থানে নিয়ে ধর্ষণ করতেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে সুনীল জানিয়েছেন, গত ১৩ বছর ধরে মাসে অন্তত দুবার তিনি দিল্লিতে আসেন এবং সে সময় স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের ধর্ষণ করতেন। এই হিসেবে তিনি প্রায় ৩১২ জন মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন।
পুলিশের উপকমিশনার অম্ভির সিং বলেছেন, এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
গো-নিউজ২৪