চলমান উত্তেজনার মধ্যেই জাপানি জলসীমায় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। চলতি সপ্তাহে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালো দেশটি।
জাতিসংঘের বারবার নিষেধাজ্ঞার সতর্কতা ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পদক্ষেপের হুমকি সত্ত্বেও চলতি বছর মোট ১২টি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপের ছয় মিনিটের মাথায় বিস্ফোরিত হয় বলে জানিয়েছেন মার্কিন সামরিক পর্যবেক্ষকরা। এদিকে জাপানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি তাদের বিশেষ অর্থনৈতিক জোনের ভেতর এসে পড়েছে।
এর আগে জি সেভেন নেতাদের সম্মেলনে উত্তর কোরিয়াকে ‘বড় সমস্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এই সমস্যার সমাধান দরকার। এরই মধ্যে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করল দেশটি।
এই পরীক্ষার নিন্দা জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। যুক্তরাষ্ট্রকে সঙ্গে নিয়ে এর সমুচিত জবাব দেয়ার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেছেন তিনি। সাংবাদিকদের আবে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সতর্কতা উপেক্ষা করে বারবার উত্তর কোরিয়ার উস্কানী আমরা কখনোই সহ্য করবো না। ’
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা নেয়ার পর থেকেই একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করছে উত্তর কোরিয়া। এ ইস্যুতে দুদেশের উত্তেজনা মাত্রা ছাড়িয়েছে। দেখা দিয়েছে যুদ্ধাবস্থা। চীন উত্তর কোরিয়াকে দমনে সহায়তা না করলে প্রয়োজনে একাই সামরিক হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। পিয়ংইয়ং পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে পাল্টা হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে। সম্ভাব্য যুদ্ধের আশঙ্কায় দুপক্ষকেই সতর্ক করেছে চীন ও রাশিয়া।
চলতি বছর উত্তর কোরিয়ার ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এ অঞ্চলে রীতিমতো যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দেশটির উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও বিরাজ করছে উদ্বেগ। সব পক্ষকে ‘সংযত আচরণ’ করার আহ্বান জানিয়েছে পিয়ংইয়ংয়ের মিত্র চীন।
কূটনৈতিক উপায়ে বিরোধ নিরসনে রাজি হলেও উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে ছাড় দিতে নারাজ যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা কঠোর করাসহ যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোকে নিয়ে কূটনৈতিক উপায় অবলম্বন এবং উত্তর কোরিয়াকে ‘সন্ত্রাসীদের মদদদাতা রাষ্ট্র’ হিসেবে তালিকাভুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করছে ওয়াশিংটন।
গো নিউজ২৪/ আরএস