ব্যাটিংয়ে দলীয় সংগ্রহটা ঠিক যথেষ্ঠ ছিল না পাকিস্তানের। তাই বোলারদের ওপর ছিল বাড়তি দায়িত্ব। নতুন বল হাতে নিয়ে সেই দায়িত্ব দারুণভাবে পালন করেছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ। তার কিপটে বোলিংয়েই সিরিজে লিড নিয়েছে পাকিস্তান।
শনিবার রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭ রানের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বাবর আজমের দল। আগে ব্যাট করে সফরকারীরা দাঁড় করায় ৮ উইকেটে ১৫৭ রানের সংগ্রহ। জবাবে নিকোলাস পুরানের ঝড়ের পরেও ৪ উইকেটে ১৫০ রানের বেশি করতে পারেনি ক্যারিবীয়রা।
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে হাফিজের ঘূর্ণি ফাঁদে আটকে যেতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আন্দ্রে ফ্লেচার ছাড়া ক্যারিবীয় লাইনআপে প্রথম পাঁচজনই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। সেই সুবিধাটাও পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছেন ডানহাতি অফস্পিনার হাফিজ।
তার ৪ ওভারের স্পেলে মাত্র ৬ রান করতে পেরেছে ক্যারিবীয়রা, হারিয়েছে ফ্লেচারের উইকেট। একটি মেইডেনও করেছেন হাফিজ। এমন কিপটে বোলিংয়ে দলকে জিতিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারও জিতে নিয়েছেন ৪০ বছর বয়সী এ অভিজ্ঞ তারকা।
হাফিজের কিপটে বোলিংয়ে ১২ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করতে পারে মাত্র ৭০ রান। ততক্ষণে সাজঘরে ফ্লেচার (০), ক্রিস গেইল (২০ বলে ১৬) ও শিমরন হেটমায়ার (১৮ বলে ১৭)। খানিক পর আঘাত পেয়ে আহত অবসরে যান বাঁহাতি ওপেনার এভিন লুইসও (৩৩ বলে ৩৫)।
ফলে সব দায়িত্ব গিয়ে বর্তায় অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড ও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরানের ওপর। শেষ ৫ ওভারে সমীকরণ ছিল ৭৪ রানের। সেখান থেকে ঝড় তোলেন পুরান। পরের ৪ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পায় ৫৪ রান। কিন্তু শেষ ওভারে বাকি ২০ রানের মধ্যে শুধু ১২-ই করতে সক্ষম হয়েছেন পুরান।
পোলার্ডের কাছ থেকে প্রত্যাশা ছিল ঝড় তোলা ব্যাটিংয়ের। কিন্তু পুরোপুরি হতাশ করেছেন তিনি। মাত্র ১৩ রান করতে তিনি খেলে ফেলেছেন ১৪টি বল, হাঁকাতে পারেননি কোনো বাউন্ডারি। তার এমন ব্যাটিংয়ের কারণে বৃথা গেছে পুরানের ৪ চার ও ৬ ছয়ের মারে খেলা ৩৩ বলে ৬২ রানের ঝড়।
এর আগে পাকিস্তানকে লড়াই করার মতো সংগ্রহ এনে দিয়েছেন দলের দুই সেরা ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম। রানআউট হওয়ার আগে ৩৬ বলে ৪৬ রান করেছেন রিজওয়ান। বাবর খেলেছেন ৪ চার ও ২ ছয়ের মারে ৪০ বলে ৫১ রানের ইনিংস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে বল হাতে একাই ৪ উইকেট নিয়েছেন জেসন হোল্ডার। এছাড়া ডোয়াইন ব্রাভোর শিকার ২টি উইকেট