আইপিএলের নিলামে সাকিব আল হাসানকে ৩ কোটি ২০ লাখ রুপিতে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা) কিনেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়েই আইপিএল ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের।
অপরদিকে, আইপিএল-২০২১ এর নিলামে মোস্তাফিজুর রহমানের ভিত্তি মূল্য ছিল ১ কোটি রুপি। বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসারকে তার ভিত্তিমূল্যেই কিনে নিলো রাজস্থান রয়্যালস।
চেন্নাইয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ৩টায় শুরু হয় নিলাম। নিলামে সর্বোচ্চ ভিত্তি মূল্য ২ কোটি রুপির ক্যাটাগরিতে ছিল সাকিবের নাম। ২ নম্বর সেট থেকে তাকে কিনে নেয় কলকাতা। নিলামে কলকাতার সঙ্গে সাকিবকে নিয়ে আগ্রহ দেখায় পাঞ্জাব কিংসও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কলকাতাই দলে ভেড়াতে সক্ষম হয়।
এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা সাকিবের সাম্প্রতিক ফর্ম ছিল দুর্দান্ত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ১১৩ রান ও ৬ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন সিরিজসেরা। সর্বশেষ হায়দরাবাদের হয়ে খেলা সাকিব আইপিএল ক্যারিয়ারে ৫৯ উইকেট ও ৭৪৬ রান করেছেন।
একই নিলামে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৭৫ লাখ রুপি ভিত্তি মূল্যে এবং ৫০ লাখের ক্যাটাগরিতে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তবে সাইফ আছেন ১৯ নম্বর এবং মাহমুদউল্লাহ ৩২ নম্বর সেটে।
২০১১ সালে সাকিবের আইপিএল ক্যারিয়ার শুরু। এরপর এই ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগে প্রায় নিয়মিত ছিলেন তিনি। এর আগে তিনি খেলেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। মোস্তাফিজ এর আগে খেলেছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে।
এবারের নিলাম শুরুর আগের চিত্র অনুযায়ী, বিদেশি ক্রিকেটারের কোটা বাকি ছিল মাত্র ২২ জনের। ফলে ১২৮ জন বিদেশি ক্রিকেটারের মধ্যে কমপক্ষে ১০৬ জনই দল পাবেন না। আর ভারতীয় ১৬৪ ক্রিকেটারের মধ্যে দল পাবেন সর্বোচ্চ ৬১ জন।
২০১৬ সালে আইপিএল ক্যারিয়ার শুরু করা মোস্তাফিজের এটি তৃতীয় দল। তার অভিষেক হয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সিতে। ওই আসরেই ১৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট তুলে নিয়ে দলের শিরোপা জয়েও রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পরের আসরে অবশ্য মাত্র ১ ম্যাচ খেলেই ফিরতে হয় তাকে। সর্বশেষ ২০১৮ সালের আসরে ৭ ম্যাচ খেলে ৭ উইকেট তুলে নেন তিনি।