২০১০ সাল। পাকিস্তানের জন্য কুলষিত একটি সাল। এ সালেই ধ্বংসের মুখে পড়ে যায় পাকিস্তানের ক্রিকেট। বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার স্পট-ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে ক্রিকেট বিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি করেন। সেই সময়ে মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ আসিফ ও সালমান বাটের ফিক্সিং নিয়ে নতুন করে বোমা ফাটালেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার আব্দুল রাজ্জাক।
তিনি জানিয়েছেন, শহীদ আফ্রিদির থাপ্পড়ে ফিক্সিংয়ের কথা স্বীকার করেছিলেন আমির। পাকিস্তানি নিউজ চ্যানেল জিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাজ্জাক এ বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করেন। তার দাবি, সালমান বাট অনেক আগে থেকেই ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে ফিক্সিং করে ধরা পড়েন আমির, আসিফ ও বাট। এর আগে ইচ্ছে করে ডট বল খেলে দলকে ডোবাতেন বাট। বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে এর প্রমাণও পেয়েছিলেন রাজ্জাক। সেই কথা আফ্রিদিকেও জানিয়েছিলেন তিনি। তবে তা হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন বুমবুমখ্যাত ক্রিকেটার।
রাজ্জাক বলেন, আফ্রিদি আমাকে রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেছিল। কিছুক্ষণ পরই একটি থাপ্পড়ের শব্দ পেয়েছিলাম। এরপর আমির সব সত্য স্বীকার করে নিয়েছিল।
তিনি বলেন, বাটকে নিয়ে আমার আশঙ্কার কথা আফ্রিদিকে জানিয়েছিলাম। তবে সে বলেছিল, এটা আমার ভুল ধারণা। কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু উইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক ম্যাচে যখন বাটের সঙ্গে ব্যাট করছিলাম, তখন বুঝতে পেরেছিলাম ও আমাদের দলকে ডোবাবে।
সাবেক পাক অলরাউন্ডার যোগ করেন, ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিতে সে যখন আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল, তখন আমি বিস্মিত হয়েছিল। যখন বুঝলাম, সে কিছু একটা করতে চাইছে, আমি তাকে কড়া ভাষায় বলেছিলাম; আমাকে স্ট্রাইক দেয়ার জন্য। তবুও ও প্রতি ওভারে ২-৩ বল ডট খেলছিল। এরপর আমাকে স্ট্রাইক দিচ্ছিল। আমি হতাশ হয়েছিলাম এবং চাপে পড়ে আউট হয়েছিলাম।
ফিক্সিং কেলেংকারিতে জড়িয়ে ৫ বছর সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হন বাট, আমির ও আসিফ। কারাদণ্ডও ভোগ করতে হয় এ ত্রয়ীকে। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে তিনজনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন। পুরোদমে ক্রিকেটে ব্যস্ত আছেন আমির। এবারের বিশ্বকাপেও বল হাতে পাকিস্তানের বড় অস্ত্র তিনিই।
গোনিউজ২৪/এম
