ফাইনালে বাংলাদেশের কঠিন রান তাড়া সহজ করে দিয়েছিল সৌম্যর ৪১ বলে ৬৬ রানের ইনিংস। ফাইনালে ওঠার পথেও বাংলাদেশের দুটি জয়ে সুর বেঁধে দিয়েছিল তার ব্যাট। করেছিলেন ৬৮ বলে ৭৩ ও ৬৭ বলে ৫৪। তার ৪৪ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে টানা তিন ইনিংসে পঞ্চাশ ছোঁয়া হলো এই প্রথমবার।
ভয়ডরহীন মানসিকতার কারণে হিতে বিপরীত হয়েছিল সৌম্যর। এই মন্ত্রেই আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলেন। হারিয়ে খুঁজছিলেন নিজেকে। এবার দেশ ছাড়ার আগে পণ করেছিলেন পরিবর্তন আনবেন মানসিকতায়। ত্রিদেশীয় সিরিজে রান করার চেয়েও সৌম্য সরকারের বড় তৃপ্তি, নিজের সঙ্গে সেই লড়াইয়ে জয়।
সৌম্য বলেন, এখন আমার হারানোর আর ভয় নাই। আয়ারল্যান্ডে আসার আগে ভেবেছি, অনেক হয়েছে। আর এসব ভেবে লাভ নেই। গণমাধ্যমে এভাবেই নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন সৌম্য।
রান-বলের পরিসংখ্যানের চেয়েও চোখে পড়ার মতো ছিল ব্যাটিংয়ের ধরন - একইসঙ্গে নান্দনিক ও বিধ্বংসী ব্যাটিং। যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন, তার ব্যাটিং ছড়িয়েছে মুগ্ধতা, গুঁড়িয়েছে বোলারদের। কখনও ফ্লিক বা ড্রাইভ, কখনও দাপুটে পুল বা লফটেড শট। সৌম্য ফিরেছেন আপন রূপে।
প্রবল মানসিক শক্তি এই ধরনের ব্যাটসম্যানদের সবচেয়ে বড় খুঁটি। কিন্তু সৌম্য উপলব্ধি করতে পারছিলেন, সেই খুঁটি নড়বড়ে লাগছে। এবার বিশ্বকাপ অভিযানে আসার আগে তাই নিজের সঙ্গে বেশ বোঝাপড়া করে এসেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
খারাপ সময়ের কথা মনে করে সৌম্য বলেন, আমি চেষ্টা করছিলাম। প্র্যাকটিসে তো কমতি রাখিনি। তবু হচ্ছিল না। ক্রিকেটারদের এ রকম হয়। লোকজনের কথাও খারাপ লাগছিল। পরে ঠিক করলাম, নেতিবাচক সব কথাও ভাবনা থেকে নিজেকে দূরে রাখব। অনেক হারিয়েছি ওসব ভেবে। আর হারানোর ভয় করে লাভ নেই। পরে ঢাকা লিগে খেলেছি খোলা মনে। সেখানে সেঞ্চুরি ও ডাবল সেঞ্চুরি আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে সাহায্য করেছে।
গোনিউজ২৪/এম