বরাবরের ন্যায় তারকাখচিত দল নিয়ে এবারও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) আসরে নেমেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালুরু।কোহলি ভক্তরা একটি শিরোপার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছেন সেই আইপিএলের শুরু থেকে। ভাবছেন এবার হয়ত সেই ক্ষিদা দূর করবেন কোহলি-ভিলিয়ার্সরা।কিন্তু ময়দানী লড়াইয়ে দেখা মিলল ভিন্ন কিছুর।একের পর এক হার।শুধু তাই নয়, টানা ছয় হার।যা ব্যাঙ্গালুরু সমর্থকদের মাথা বিঘড়িয়ে দিয়েছে। ১১তম বারের মতো এবারও হাল ছেড়ে দিয়েছে রয়্যালরা।
টানা ছ’ম্যাচে হারের পরে শনিবার আইপিএলে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছেন কোহলিরা। এ যেন উত্তপ্ত মরুর বুকে এক ফসলা বৃষ্টি।রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর অধিনায়ক বিরাট কোহালির কাছে সেই জয়ের মূল্য অপরিসীম।
মোহালিতে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে হারানোয় গুরুত্বপূর্ণ অবদান কোহালি (৬৭) এবং এবি ডিভিলিয়ার্সের (অপরাজিত ৫৯)। এই জুটির ৮৭ রানই গড়ে দেয় আরসিবি-র জয়ের ভিত। চার বল বাকি থাকতে ১৭৪ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যান ডিভিলিয়ার্সরা।
আইপিএল টেবলে তারা সকলের নীচে থাকলেও শনিবারের জয়ে খুশি কোহালি। বলেছেন, ‘জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছনোর অনুভূতিই আলাদা। তার উপর বেশ কয়েকটি ম্যাচে ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিল না। তবে এটা বলছি না যে, আগের সব ম্যাচেই তা হয়েছে। তবে কয়েকটা ম্যাচে আমাদের জেতা উচিত ছিল।’
কোহালি আরও খুশি টানা হারের পরেও তার দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে জয়ের খিদে দেখে। আরসিবি অধিনায়কের কথায়, ‘সত্যিই ভালো লাগছে এত বিপর্যয়ের পরেও ছেলেরা জয়ের জন্য ঝাঁপাচ্ছে দেখে। এই একটা কথাই ওদের জন্য উপযুক্ত। আর পাঞ্জাব ম্যাচে মনে হয়েছিল ওরা ১৯০ করলেও লড়াইটা করা যাবে। সেখানে ১৭০ রানে ওদের বেঁধে রাখা দারুণ ব্যাপার। সঙ্গে ৮ ওভারের মধ্যে চারটি উইকেট পাওয়াও। তাও মাত্র ৬০ রান দিয়ে।’
গোনিউজ২৪/এএস