২০১১ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে বার্বেডোজের হয়ে একের পর এক নজরকাড়া পারফরম্যান্স করেন ছ’ফিট চার ইঞ্চির ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। যার মধ্যে ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগোর বিরুদ্ধে তার সাত উইকেটের বোলিং স্পেল নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে কার্যত ‘অটোমেটিক চয়েস’ হিসাবে প্রথমবার দলে প্রবেশ করেন ব্র্যাথওয়েট। জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলতে ঢাকায় পৌঁছেই মা জয়েসলিনের ফোন পেলেন ব্র্যাথওয়েট। ছেলেকে জয়েসলিন জানান যে, কাঁধের নীচে ব্যথায় কাতর তিনি। মা’কে চিকিৎসার পরামর্শ নেয়ার কথা বলেন ব্র্যাথওয়েট।
কিন্তু সিরিজ চলাকালীন ব্রেথওয়েট যে খবরটা পেলেন, সেটার জন্য হয়তো তিনি মানসিকভাবে তৈরি ছিলেন না। বার্বেডোজ থেকে ফোনে মা তাকে জানালেন যে, স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত তিনি। মুহূর্তের মধ্যে ব্র্যাথওয়েটের জগত বদলে গিয়েছিল। দেশে ফেরার পর তাঁর একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান মা’র চিকিৎসা। কেমোথেরাপির যন্ত্রণায় মা’র মুখ বিকৃত হয়ে যাওয়া ভুলতে পারেন না ব্র্যাথওয়েট। তবু জয়েসলিন উৎসাহ জুগিয়ে গিয়েছেন ছেলেকে। ব্র্যাথওয়েট একবার বলেছিলেন, ‘‘মা’র ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবর শুনে কাদতাম। খুব দুশ্চিন্তা হতো। তবে আমার চেয়ে মা মানসিকভাবে অনেক শক্তপোক্ত। ওইরকম সময়েও আমার সঙ্গে হেসে কথা বলতেন। ক্রিকেট খেলায় উৎসাহ দিতেন।’’
মা’র যন্ত্রণা ভাগ করে নেওয়ার জন্য ব্র্যাথওয়েট বেছে নিয়েছিলেন ক্রিকেট মাঠকেই। কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় জয়েসলিনের চুল উঠে গিয়েছিল। ব্র্যাথওয়েটও নিজের মাথা কামিয়ে মাঠে নেমেছিলেন। পরে সেই ছবি মা’কে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। সহমর্মিতার এক অভিনব দৃষ্টান্ত রাখেন ব্র্যাথওয়েট। সেই ব্র্যাথওয়েট এবার আইপিএলে খেলবেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে।
গোনিউজ২৪/এআর