২১ টেস্টে (৩৮ ইনিংস) তার নামের পাশে ৮০ উইকেট। ৪ বছরের ক্যারিয়ারে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮ উইকেট নেয়ার রেকর্ডও তার জুলিতে। ২০১৪ সালের (অভিষেকের) পর বাংলাদেশ যে ৬টি টেস্ট ম্যাচ জিতেছে প্রতিটিতেই ছিল তার অবদান। অথচ সাকিব-তামিমদের নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটে যত আলোচনা হয় তার ছিটেফোটাও হয় না তাকে নিয়ে।
হ্যা, পাঠক বলছি তাইজুল ইসলামের কথা। বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক আনসাং হিরোর কথা। যার লড়াইটা নীরভে-নিভৃতে দেশের জন্য, দলের জন্য।
জীবন আনন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা বনলতা সেন হলেও বাংলাদেশ ক্রিকেটকে নাটোরের দেয়া শ্রেষ্ঠ উপহার তাইজুল ইসলাম। যার পথচলা অন্য আট-দশ জনের মতো নয়, ভিন্ন। তিনি খুব বেশি আলোচনা আসেন না। হয়তো আলোচনায় আসতে পছন্দও করেন না। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে তুলেছেন ১১ উইকেট। দল হারলেও চুপিসারে নিজের দায়িত্ব ভালোভাবেই পালন করেছেন তিনি। তাই হয়তো ব্যাটারদের শাসালেও বোলিং সেক্টর নিয়ে মুখ খোলার সুযোগ পাননি ক্যাপ্টেন মাহমুদউল্লাহ।
সিরিজের প্রথম টেস্টে (সিলেট) অসাধারণ কীর্তি গড়ে ঢাকা টেস্টেও পারফর্মের ধারা অব্যাহত রাখেন তাইজুল। বাঁচা-মরার টেস্টে প্রথম ইনিংসে তুলে নেন ৫ উইকেট। অর্থাৎ দুই টেস্টে তিন ইনিংসে তার উইকেট সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১৬ তে। হিসাব বলছে, বাংলাদেশিদের মধ্যে দুই ম্যাচে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহ করতে রিয়াদের চাই আর মাত্র চার উইকেট।
স্বপ্ন জয়ের হাতছানি। আর মাত্র চারটি উইকেট পেলেই মেহেদী মিরাজকে টপকে বাংলাদেশিদের মধ্যে এই ইনিংসে সর্বোচ্চ উইকেট (দুই টেস্ট) শিকারি বোলারে পরিণত হবেন তাইজুল। ২০১৬ সালে অভিষিক্ত সিরিজে মেহেদী মিরাজের গড়া ১৯ উইকেট ভাঙা চাই তার। তবে এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত দুই উইকেট তুলে নিয়েছেন তাইজুল। তার প্রয়োজন আর মাত্র দুই উইকেট। আর তাতেই নতুন রেকর্ডের মালিক হবেন তিনি।
গোনিউজ২৪/এআর