ক্রিকেটের জন্য সবচেয়ে বড় কলঙ্কের নাম 'ম্যাচ ফিক্সিং'। ক্রিকেটের অনেক রথী-মহারথীই এই কলঙ্কের সাথে নাম যুক্ত করে নিজেকে ডুবিয়েছেন। সাথে ডুবিয়েছেন নিজের দেশ ও ক্রিকেট দলের সম্মানও। আর এই বিষয়ে এগিয়ে বিশেষ করে পাকিস্তান। শাস্তিও পেয়েছে বড় ধরনের। ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার দায়ে জেল খাটতে হয়েছে পাকিস্তানের তিন ক্রিকেটার সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমিরকে। আশ্চর্যের বিষয় হলো এই তিন ক্রিকেটারের এমন শাস্তির পরেও সচেতন হননি পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা।
এবার পাস্তিানের এই তালিকাটা আরো বড় করেছে ওপেনার নাসির জামশেদ। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে দশ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে পাকিস্তানের এই ব্যাটসম্যানকে।
অভিযোগ ওঠে পাকিস্তান প্রিমিয়ার লীগ (পিএসএল) ২০১৬-১৭ সেশনে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত ছিলেন তিনি।
পিএসএলের ২০১৬-১৭ মৌসুমে ম্যাচ গড়াপেটার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। যাদের মধ্যে অন্যতম শাহজাইব হাসানকে গত শুক্রবার ৪ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল পিসিবি। ঠিক এক সপ্তাহ পর ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞা পেলেন জামশেদ।
চলতি বছরের এপ্রিলে নিজের উপরে আসা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন জামশেদ। ফলে বাধ্য হয়েই পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি একটি তিন সদস্যের অ্যান্টি করাপশন ট্রাইবুনাল গঠন করেন। যেখানে ছিলেন ফজলে মিরান চৌহান, শাহজাইব মাকসুদ ও পাকিস্তানের সাবেক পেসার আকিব জাভেদ।
এই ট্রাইবুনালের রায়েই ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন জামশেদ। শাহজাইব ও জামশেদ ছাড়াও একই ঘটনায় বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা ভোগ করছেন শারজিল খান, খালিদ লতিফ, মোহাম্মদ ইরফান ও মোহাম্মদ নওয়াজ।
ফলে ক্রিকেট ক্যায়ারই প্রায় শেষ হয়ে গেল ২৮ বছর বয়সী জামশেদের। অবশ্য গত দু’বছরে দ্বিতীয়বার স্পট ফিক্সিং কান্ডে এমন বড় শাস্তি পেলেন।
গোনিউজ২৪/এএস