ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে টাইগাররা যখন ধুকছে। ঠিক তখনি নেদারল্যান্ডে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপোর বাছাইপর্বে আলো ছড়াচ্ছেন ফাহিমারা। ৩ ম্যাচে এখন পর্যন্ত ১০ ওভার বোলিং করে ৮ উইকেট শিকার করে শীর্ষে রয়েছেন ফাহিমা খাতুন। টাইগাররা যখন হন্য হয়ে কোয়ালিটি লেগ স্পিনার খুঁজছে তখন টাইগ্রেস দলে লেগিরা দাপট দেখাচ্ছে।
বিরুদ্ধ স্পিন কন্ডিশনে লেগ স্পিন কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত রাখলেন ফাহিমা। পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ফাহিমার বোলিং খুব একটা হয়নি। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ১ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে ৩.৩৩ ইকোনমির পরও ভালো বোলিং হয়নি? পরের দুই ম্যাচের পারফ্যান্সের তুলনায় এটাকে খারাপ বলা ছাড়া উপায় আছে! নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ওভারে ২ মেডেনে ৩ রান দিয়ে পেয়েছেন ৩ উইকেট। ইকোনমি ১! আর কাল আমিরাতের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে করলেন হ্যাটট্রিক। ম্যাচে তার বোলিং বিশ্লেষণ: ৪ ওভারে ৮ রানে ৪ উইকেট।
আসরে ৮ উইকেট শিকার করতে ফাহিমা খরচ করেছে ২১ রান। উইকেট প্রতি তার খরচ মাত্র ২.৬১ রান!
আরব আমিরাতের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে রেকর্ড বইয়ে নাম লিখিয়েছেন, সে আনন্দ তো আছেই। ফাহিমার আনন্দ দ্বিগুণ হয়েছে দল সেমিফাইনাল নিশ্চিত করায়, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটা আমার প্রথম হ্যাটট্রিক। অসাধারণ এক মুহূর্ত ছিল আমার জন্য। আমি অনেক খুশি। আমরা সেমিফাইনালে চলে গেছি। সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’
আগামী ১২ জুলাই সেমিতে স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচ জিতলেই নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে পারবে মেয়েরা। কারণ বাছাই পর্ব থেকে দুটি দল খেলতে পারবে বিশ্বকাপে। তাই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই ফাহিমা-সালমাদের।
বাছাই পর্বে ফহিমার যেভাবে বোলিং করেছে সেটা যদি গোটা টুর্নামেন্টে অব্যহত থাকে তাহলে এশিয়া কাপ জয়ী নারীদের স্বপ্নটা একদিন আরও বড় হবে।
গোনিউজ২৪/টিআই