বেশ কয়েক সিজন আগেও এমন কঠোর নিয়ম ছিল না। চিয়ার লিডাররা চাইলেই ক্রিকেটারদের হোটেল চলে যেতে পারতেন, তাদের সঙ্গে গল্প-গুজব করতে পারতেন। এমন কী নৈশভোজ কিংবা রাতের পার্টিতেও একসঙ্গে থাকতেন। কিন্তু বার কয়েক বিতর্কের পর হঠাৎই আইপিএল কমিটি সিদ্ধান্ত, সিজন ইলেভেন চিয়ার লিডার ও খেলোয়াডদের মাঝে থাকবে দুরত্ব। অর্থাৎ চাইলেও প্রয়োজন ছাড়া তারা একে অন্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবে না। প্রয়োজনে শাস্তির ব্যবস্থাও রেখেছিল বিসিসিআই-এর অ্যান্টি করাপশন ইউনিট (এসিইউ)।
আইপিএলের নতুন আসরে শুরু থেকে এমন ধারা চললেও হঠাৎ নিয়ম ভুলে চিয়ার লিডারদের নৈশভোজে ডেকে বসে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। আর তাতেই ক্ষেপে যায় বিসিসিআই-এর অ্যান্টি করাপশন ইউনিট (এসিইউ)।
আসল ঘটনা গেল শুক্রবারের (১৮ মে)। সেদিন চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে ম্যাচের পরে গুরুগ্রামে আয়োজিত নৈশভোজে দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজি আমন্ত্রণ করেছিল চিয়ারলিডারদেরও।
ম্যাচ গড়াপেটা তথা বেটিং-এর ইতিহাস আইপিএলের কলঙ্কজনক অধ্যায়। ক্রিকেটারদের সঙ্গে বাইরের লোকেদের মেলামেশা নিয়ে তার পর থেকেই সতর্ক বিসিসিআই। তবে এসিইউ দিল্লি ডেয়ারডেভিলসদের বিরুদ্ধে কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চিয়ারলিডারররা ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোনোভাবেই সংযুক্ত ছিলেন না পার্টির সময়ে। তারা এসেছিলেন নিজেদের মতো। তার পর খাওয়া সেরে ফিরেও গিয়েছিলেন।
বোর্ডের তরফে দিল্লিকে সতর্ক করা হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটলে যে ভবিষ্যতে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে, সেটাও জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চেন্নাই ও মুম্বাইকে হারালেও শেষ পর্যন্ত আইপিএল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে দিল্লিকে। শেষ চারে পৌঁছাতে না পারার পাশাপাশি চিয়ারলিডার বিতর্কও সঙ্গে নিয়ে শেষ হল তাদের এবারের আইপিএল অভিযান।
গোনিউজ২৪/আর