মাঠে চলে বাইশ গজের ধুন্ধুমার লড়াই। কোহলি, ডিভিলিয়ার্স, গেইল, গম্ভীর, স্টার্ক থেকে বাঙালিদের ঘরের ছেলে ঋদ্ধিমান সাহারা যখন ব্যাট-বল হাতে সবুজ মাঠ শাসন করেন, তখন অবিশ্রান্তভাবে সাজানো উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্মে নিজেদের কাজ করে চলেন তারা। তারা চিয়ার লিডার। আইপিএলে সবথেকে বড় ইউএসপি। আইপিএলে মোহময়ী ক্রিকেটের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর এই চিয়ার লিডাররাই। তাদের ত্রহ্যস্পর্শেই আইপিএল হয়ে ওঠে যথার্থ ‘আবেগের মহোৎসব’।
কিন্তু ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আইপিএলে মৌসুমি চাকরি করতে আসা চিয়ার-কণ্যাদের ভারতের বিষয়ে অভিজ্ঞতা কেমন তা শুনলে চমকে উঠতে হয়। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে তারা খোলাখুলি জানালেন তাদের সেই অভিজ্ঞতা। তাদের পোশাক, অভিজ্ঞতা, অনুভব সবকিছুর বিষয়েই জানালেন নাম না প্রকাশ করার শর্তে।
অজ্ঞাতনামা এক চিয়ার লিডারের বিস্ফোরক মন্তব্য, ‘প্রাশ্চাত্যে যখন কোনো মহিলা নৃত্যশিল্পী নাচেন, তখন তার পোশাক, শরীর নিয়ে কেউ ভাবেই না এখানকার মতো। এদেশে চিয়ারলিডারদের সেক্স অবজেক্ট হিসাবেই দেখা হয়।’ অন্য এক চিয়ারলিডারের বক্তব্য, ‘আমি একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে টুর্নামেন্টে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। কিন্তু এখন দেখছি, এখানে যৌন পণ্য হিসেবেই আমাকে দেখা হয়।’
প্রায়ই দর্শকদের যৌন-ইঙ্গিতপূর্ণ ব্যবহারও সইতে হয়। দর্শকদের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এক চিয়ারলিডার বলেন, ‘মাঠে অনেকেই এমন অঙ্গভঙ্গি করে, মন্তব্য করে যা সহজে মেনে নেওয়া যায় না। এড়িয়ে যেতে বাধ্য হই আমরা। ক্ষমাসুলভ দৃষ্টিতে দেখি।’ আইপিএলে এসে মোহভঙ্গ হওয়ার পর উঠতি মডেলদেরও এই পেশা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন সেই চিয়ারলিডার। বলছেন, ‘যদি কেউ চিয়ারলিডার হতেই চায়, তাহলে অবশ্যই নাচের তালিম নিয়ে চিয়ারলিডার হওয়া উচিত। কারণ সেক্ষেত্রে এই পেশা হতাশ করলে, নৃত্যশিল্পী হিসেবে জীবনযাপন করা যেতে পারে।’
আইপিএলেল বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ উঠেছিল বর্ণবিদ্বেষের। শ্বেতাঙ্গ মেয়েদের ছোট পোশাক পরানোর বিরুদ্ধে অনেকেই সোচ্চার হয়েছেন। নাম না জানানো সেই চিয়ারলিডারও মেনে নেন, আইপিএলে বর্ণবিদ্বেষ পুরোমাত্রায় বর্তমান।
গোনিউজ২৪/এআর