গতকাল শ্রীলঙ্কার সাথে টাইগারদের ঘটেছিল লঙ্কা কাণ্ড। শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশ্র প্রয়োজন ছিলো ৬ বলে ১২ রান। ইতিটানতে বল হাতে আসেন লঙ্কান পেসার উদানা। তার প্রথম বল মোকাবেলা করেছিল কাঁটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম বলটি বাউন্সার হয়ে উড়ে গেল মুস্তাফিজের মাথার উপর দিয়ে। দ্বিতীয় বলও একই লাইন দিয়ে আগের থেকে একটু বেশি উচ্চতায় জমা পড়ল উইকেটরক্ষকের হাতে। রানের জন্য মুস্তাফিজ দৌড় দিলে রান আউট হয়ে যান তিনি। কিন্তু আম্পায়ারের কাছ থেকে এলো না কোন ওয়াইড বা নো বলের সংকেত। আর তখনি শুরু হলো বাংলাদেশে দলের প্রতিবাদ।
টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে বাউন্সার দেওয়া যায় মাত্র একটি তবে ওয়ানডেতে দেওয়া যায় দুইটা। গতকালকের ম্যাচটি ছিলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু বাউন্সারকে আম্পায়ার দিলেন লিগ্যাল ডেলিভারি আর এই সিদ্ধান্তে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে গেল গোটা টাইগার দল। সাকিব অভিযোগ তুললেন তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। মাঠে মাহমুদউল্লাহও তখন ফিল্ড আম্পায়ারকে বুঝানোর চেষ্টা করছেন। কেউ কোন কথা কানে তুলছে না, কিন্তু ভিডিও ফুটেজ বলছে সেটা আসলেই নো বল ছিল। তাই এক পর্যায়ে সাকিব মাঠ থেকে উঠে যাওয়ার জন্য দুই ব্যাটসম্যানকে ইশারা করেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েই ব্যাটিং করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার ব্যাটিং নৈপুণ্যে ১ বল বাকি থাকতেই ২ উইকেটে জয়ের বন্ধরে পৌঁছে যায় টিম-টাইগাররা। কিন্তু সবখানে সমালোচিত হচ্ছে সাকিবের দলকে মাঠ থেকে উঠে যাওয়ার নির্দেশ।
তাই সাকিব-নুরুলদের ১ ডিমেরিট পয়েন্ট ও ২৫ শতাংশ জরিমানা—এ শাস্তি মানতে তাঁদের আপত্তি আছে কি না! সাকিব-নুরুল বিনা বাক্য ব্যয়ে সই করে দিলেন ব্রডের কাগজে!
এরপরও ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তী সুনীল গাভাস্কার টাইগার দলপতি সাকিব আল হাসানের কর্মকান্ডে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)’র কাছে নালিশ রাখলেন সর্বোচ্চ শাস্তি। তিনি বলেন, সাকিব অতি আবেগি হয়ে অন্যায় করেছে তার সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়া উচিত।
সাকিবের কালকের আচরণ বিবেচনা করার আগে দাদা সুনিল গাভাস্কার নিজের চেয়ারা অন্তত একবার হলেও আয়নাতে দেখা উচিত। এখন কেন সাকিবকে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে? তাহলে দাদারটা কি ছিল এই এগ্রেশন কি আমরাই ১ম দেখালাম? আর এই এগ্রেশনের জন্য দাদাকে কি শাস্তি দেওয়া হয়েছিল ক্রিকেট ভক্তদের জানতে খুব ইচ্ছা করছে। এতদিন ইন্ডিয়ার এই ভদ্রলোককে অনেক নিরপেক্ষ ভাবছিল বাংলাদেশর ক্রিকেট ক্রেজিরা। এই শাস্তি চাওয়ার মাঝে কেন জানি তাদের স্বস্তি দেখতে পাচ্ছে বাংলার ক্রিকেট প্রেমিরা। যদি কোনভাবে সাকিব কে ব্যান করে দেওয়া যায়, তাহলে তো সাকিব মুক্ত ফাইনাল খেলতেপারবে এই ইন্ডিয়া।
১৯৮১ সালে অস্ট্রেলিয়ার সাথে খেলার সময় আম্পায়ারের এলবি আউট তার অনুকূলে না যাওয়ায়, দাদা সুনিল তার দল নিয়ে ওয়াকআউট করেছিলেন। কই দাদারতো এমনটা হয়নি? নাকি গরিবের বউ সবার ভাবি হয়, এজন্য এমনটা? দাদাদের মনে রাখা উচিত হাতি আকারে বড় হতে পারে কিন্তু পিঁপড়ার কাছে হেরে যায়।
বি:দ্র: গরিব বউ বলতে আয়তনে ভারতের চেয়ে ছোট বাংলাদেশকে বুঝিয়েছি।
গোনিউজ২৪/এএস