নাগিন ড্যান্স। প্রেমাদাসার মাঠ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সবখানেই চলছে ‘নাগিন নাচ’! বিশেষ করে কাল রাতে শ্রীলংকাকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করার পর তামিম-সাব্বিরদের ও টিম ম্যানেজমেন্টের এমন ড্যান্স শোনিয়ে চারদিকে শোরগোলপড়ে গেছে। যা নিয়ে এখন সবাই সরব। খেলোয়াড়দের এই নাচ সংক্রমিত হয়েছে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যেও। যে যার মতো করে নাগিন নাচের ছবি পোস্ট করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এমনকি এই নাচ বিশ্ব মিডিয়ার নজরেও পড়েছে। কিন্তু এই ‘নাগিন নাচ’-এর জনক কে? এমন প্রশ্ন মনের ভেতরে উঁকি দিতেই পারে।
নাচটি মূলত আলোচনায় এসেছে মুশফিকুর রহিমের সৌজন্যে। এই নাচ নেচে মুশফিকুর রহিম ‘বিখ্যাত’ হলেও এটি আসলে নাজমুল ইসলামের আবিষ্কার। নিদাহাস ট্রফির গ্রুপপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ২১৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় শ্রীলংকা। মুশফিকের মহাকাব্যিক ৭২ রানের ইনিংসে ৫ উইকেট হাতে রেখেই সেই চ্যালেঞ্জ ছুয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ঐতিহাসিক জয়ের পর খ্যাপাটে উদযাপনে মাতেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। প্রদর্শন করেন নাগিন ড্যান্স।
২০১৬ বিপিএলে এই নাচ নেচে সবার দৃষ্টি কাড়েন নাজমুল। সর্বশেষ বিপিএলে এই ‘নাগিন নাচ’ মোটামুটি বিখ্যাত বানিয়ে দেন তিনি। উইকেট পেলেই মাথার ওপর হাত তুলে সাপের ভঙ্গিতে এঁকেবেঁকে নাজমুলের সেই উদ্যাপনের ভঙ্গিই ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশ দলে।
গত বিপিএলেই সংবাদকর্মীরা নাজমুলকে প্রশ্ন করেছিলেন, এই নাচের কী রহস্য? তার জবাব, ‘আগেরবার রাজশাহী কিংসে খেলার সময় ড্যারেন স্যামিকে স্নেকগিরি (সাপের নাচ) দেখালে ভয় পেত, মজাও পেত। ওর কাছ থেকেই শুরু। তারপর ম্যাচে করতে করতে এখন হয়ে গেছে। এভাবেই আসছে।’
নাজমুলের এই ‘নাগিন নাচ’ ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়ে জায়গা করে নিয়েছে আন্তর্জাতিক মঞ্চে। বৈশ্বিক সংবাদমাধ্যমও এই নাচকে লুফে নিয়েছে। তবে শ্রীলঙ্কা দলের সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরে সিলেটে এই নাচ দিয়ে উদ্যাপন সেরেছিলেন গুনাতিলকা। কিন্তু নিদাহাস ট্রফিতে ব্যাপারটা অন্য মাত্রা পেয়েছে। বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা তো বটেই, শ্রীলঙ্কা দলের খেলোয়াড়েরাও উদ্যাপন সারতে নাগিন নাচের দ্বারস্থ হয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, প্রেমাদাসার গ্যালারিতে দর্শকদের মধ্যেও সাড়া ফেলেছে এই নাচ।
বাংলাদেশের দেখানো এই নাচ দেখে এখন নাচছে গোটা ক্রিকেট দুনিয়াই!
গোনিউজ২৪/এএস