ঘটনার সুত্রপাত শেষ ওভারের ‘নো’ বল বিতর্ক দিয়ে। প্রথম বল ডট পরের বলে বাই রান নিতে গিয়ে রান আউট মোস্তাফিজ। পরপর দুই বাউন্সের কারনে ‘নো’ বল সংকেত দেন লেগ আম্পায়ার। শ্রীলঙ্কার প্লেয়াররা আপত্তি জানালে মেন আম্পায়রি ‘নো বল নাকচ করে। যা মেনে নিতে পারেনি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক রিয়াদ। শুরু হয় বিতর্ক। যার কারনে কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে খেলা। তৃতীয় বলে স্ট্রাইক পান মাহমুদউল্লাহ। তখন অফস্টাম্পের অনেক বাইরে করা উদানার স্লোয়ার ডেলিভারিতে কাভারের উপর দিয়ে হাঁকান চার। চতুর্থ বলে দুই রান নিয়ে স্ট্রাইক ধরে রাখেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। শেষ ২ বলে দরকার ৬ রান। এক বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে বাংলাদেশ। পঞ্চম বলে স্কয়ার লেগের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে। শ্রীলঙ্কাকে নিস্তব্ধ করে দিয়ে উল্লাসে মাতে বাংলাদেশ। এক বল হাতে রেখে জয় পায় বাংলাদেশ।
এদিকে আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্তের জন্য ম্যাচ বর্জন করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ! অধিনায়ক সাকিব ক্রিজের দুই ব্যাটসম্যান রিয়াদ ও রবেলকে মাঠ থেকে চলে আসতে ইঙ্গিত করেছিলেন। যার কারণে সাকিবের সামনে নিষেধাজ্ঞার হুমকি ছিল। তবে সেটা হয়নি।
শুক্রবার রাতে ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড সাকিবকে ২৫ শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানা আর একটি ডমেরিট পয়েন্ট দিয়েছেন। সাকিবের পাশাপাশি এক ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেন নুরুল হাসান সোহান। উত্তেজনার মুহূর্তে লঙ্কানদের সাথে কথার কাটাকাটির ঝামেলায় ঝড়িয়ে যান সোহান। যার কারণে মূল একাদশে না থেকেও ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেন তিনি।
টিম ম্যানেজমেন্টদের তথ্য অনুসারে, ম্যাচ রেফারি বুঝতে পেরেছেন ঘটনার উৎপত্তি আসলে আম্পায়ারের ভুলে হয়েছিলো! তাই সাকিব-নুরুলকে বেশি জরিমানা গুনতে হয়নি।
শুক্রবার প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৫৯ রান তাড়া করে টানটান উত্তেজনা আর নানা নাটকীয়তায় ১ বল বাকি থাকতে জয় পায় বাংলাদেশ।
আগামী ১৮ মার্চ রবিবার স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে দর্শক বানিয়ে নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
গোনিউজ/টিআই