অপ্রতিরোধ্য নামটা তাদের সাথে বেশ ভালো মানায়। লা লিগায় টানা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত থাকা বার্সা ফের নিজেদের রেকর্ড নিজেরাই ছুলেন। এর আগে ২০১০-১১ মৌসুমে বার্সার ইতিহাসের সেরা কোচ পেপ গুয়ার্দিওলার অধীনে রেকর্ডটি গড়েছিল তারা।কোচ এরেনেস্তা ভেলভরদে অবশ্যই খুশি কিংবদন্তি কোচ গার্দিওলার রেকর্ড স্পর্শ করতে পেরে।
লা লিগায় টানা দুই ম্যাচে ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা বার্সা ফিরলেন জয়ের রেসে। শনিবার এইবারের মাঠে ২-০ ব্যবধানে জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দলটি।
ম্যাচের ১৬তম মিনিটে প্রথম আক্রমণেই গোলের দেখা পায় ভালভরদের শীষ্যরা। বার্সাল সেরা তারকা লিওনেল মেসির নিখুঁতভাবে বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে এক ঝটকায় গোলরক্ষককে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন উরুগুইয়অন ফরোয়ার্ড সুয়ারেজ। লিগে লাতিন আমেরিকান স্ট্রাইকারের এটি ১৭তম গোল।
তিন মিনিট পরেই সমতায় ফিরতে পারতো স্বাগতিক এইবার। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে ফাবিয়ান ওরেয়ানা জোরালো শটে টের স্টেগেনকে পরাস্ত করলেও বল লাগে ক্রসবারে।
৩৭তম মিনিটে ড্রিবলিং মাষ্টার মেসির নেওয়া কোনাকুনি শট লাগে গোল পোস্টে। চার মিনিট পর তার রক্ষণচেরা পাস ধরে ১২ গজ দূর থেকে গোলরক্ষক বরাবর শট মেরে বসেন আলবা।
৫৬তম মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন এইবারের জাপানি মিডফিল্ডার তাকাশি ইনুই। তবে ৬৬তম মিনিটে রেফারির সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করায় লাল কার্ড দেখে এইবারের মিডফিল্ডার ওরেয়ানা বড় ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা।
এক জন কম নিয়ে বাকি সময়ে ভালোই লড়াই করে সপ্তম স্থান থাকা এইবার। তবে ৮৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন আলবা। মেসির শট গোলরক্ষক ঠেকালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফিরতি বল ফাঁকায় পেয়ে অনায়াসে এইবারের জালে ঠেলে দেন স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার।
লা লিগায় ২৪ ম্যাচে ১৯ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ৬২। অন্যদিকে ১০ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে এক এ্যাটলেতিকো মাদ্রিদ। স্পানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদের অবস্থান ৪র্থ নম্বরে।
গোনিউজ/টিআই