ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রংপুরের নাসিরের বিশ্বজয়ের গল্প


গো নিউজ২৪ | আব্দুস ছালাম প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০১৮, ০৮:০৯ পিএম
রংপুরের নাসিরের বিশ্বজয়ের গল্প

একজন খেলোয়াড়ের খেলার কৌশলীটা শুধু মাঠেই দেখা যায়। কিন্তু মাঠের বাইরে তার জীবন কতটা বৈচিত্র্যপূর্ণ সেটি দেখা বা জানা মেলে কমই।এবার আপনাদের জানাব বাংলাদেশ জাতীয় দলের অলরাউন্ডার নাসির হোসেনের আড়ালে থাকা জীবনের গল্প। যেখানে আছে তার বেড়ে ওঠা, পাওয়া-না পাওয়ার গল্প। আছে ক্রিকেটার হয়ে ওঠার গল্প। ব্যক্তিগত ভালো লাগা, খারাপ লাগা, পছন্দ-রুচি, ক্যারিয়ার নিয়ে ভবিষ্যৎ ভাবনার কথা।

জন্ম: ৩০ নভেম্বর ১৯৯১ সালে  রংপুরের দেওয়ান বাড়িতে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার নাসির হোসেন ।

বাবা-মায়ের সাথে নাসির হোসেন

পরিবার: ভাই ১ বোনের মধ্যে নাসিরের অবস্থান চতুর্থ। বাবা একটা চাকুরীজীবি, মা গৃহীনি । যৌথ ফ্যামিলীর মতই বাবা-মা ভাই বোনের সাথে চাচাদের নিয়ে থাকা।সবার সাথে বলতে হয় খুব মজা করেই কেটেছে তার ছেলে বেলা।

পারিবারিক অবস্থা: উচ্চ বিত্তের বড় আদরের সন্তানের মত সোনার চামুচ মুখে নিয়ে তার জন্ম হয়নি। তবে বলা যায় অনেক ঘাম ঝরিয়ে নিজের মেধা-শ্রম-সাধনা ও চেষ্টার গুণেই হয়েছেন যেন সোনার চেয়েও দামি এক ক্রিকেটার।জায়গা করে নিয়েছেন টাইগার ভক্তদের হৃদয়ের কোণে। তাই তো সবাই ভালবাসার মায়া জড়িয়ে তাকে ডাকে ‘মিষ্টার ফিনিসার’ বলে। ডাকবেই না কেন বেশ কিছু ম্যাচ যে অসাধারণ ব্যাট করে দলকে এনে দিয়েছেন জয়ের বন্দরে।তাই ও ‘মিস্টার ফিনিসার।’

ছোটবেলা: নানা অভাব অনটনে থাকা পরিবারের সন্তানেরা যখন উচিত জীবন যুদ্ধে অংশ নিয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার তাগিদে পড়া লেখায় ডুবে থাকে।ঠিক তখনি নাসির পড়া লেখায় কিছুটা অমনোযোগী হয়ে মেতে থাকে ক্রিকেট নামক একটা নেশায়। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি তার যত স্বপ্ন-ভালবাসা।চাচারা রোজ ক্রিকেট খেলতেন।আর তাই দেখেই নাসির ব্যাট-বল নিয়ে মগ্ন থাকার নেশায় মাতেন।ক্রিকেটের প্রতি বাবা মায়ের সাপোর্ট ছোট বেলায় কমই পেয়েছেন নাসির। কিন্তু চাচারা সাপোর্ট দিয়েন খুব। তবে পড়াশুনাটা ঠিক রেখে।ছেলে বেলায় বেশ দুষ্ট আর ডানপিটে স্বভাবের ছিলেন নাসির। স্কুল ফাঁকি দিয়ে অনেক সময় বড় ভাইসহ ক্রিকেট খেলা দেখতে যাওয়ার কারণে বাবা-চাচাদের হাতে পিটুনি খাওয়ার ঘটনাও আছে তার।শুধু কি তাই অতিমাত্রায় ক্রিকেট নিয়ে পড়ে থাকার কারণে বাসা হতে বের করে দেয়ার কাণ্ড ঘটিয়েছেন।যদিও রাতে চাচারা ডেকে এনে বুকে জড়িয়ে নিয়েছেন। 

ভাইয়ের বিয়েতে পরিবারের সবার মাঝে নাসির ডানে প্রিয় দাদীর সাথে তিনি

স্বপ্ন: যদিও নাসিরের ক্রিকেট জীবনের শুরুটা চাচাদের দেখে দেখে শুরু হলেও রংপুর ক্রিকেট গার্ডেনের সাকিব নামক এক ক্রিকেট প্রেমিকের হাত ধরেই যেন নতুন করে স্বপ্ন দেখার সূচনা তার।সাকিব সাহেব কেন যানি মায়ার বাঁধনে জড়িয়ে নিয়েছিলেন ক্রিকেট পাগলামীতে মেতে থাকা স্কুল বয় ছোট্ট নাসিরকে।আর তাইত নিজেই রোজ রোজ রিক্সা ভারা করে নাসিরকে নিয়ে যেতেন একাডেমিতে।দিন গড়ানোর সাথে সাথে একটা সময় ক্রিকেটকে নেশার পাশাপাশি জীবনের সাথে এক সূঁতোয় বেধে ফেলেন সেই ডানপিটে ছেলেটা ।এরই মাঝে রংপুরে আয়োজন করা হয় কিশোর প্রতিভাদের নিয়ে বিশেষ কোচিং ক্যাম্প।শ্রীলঙ্কার কোচ চার্লি এসেছিলেন প্রশিক্ষণ দিতে।অস্থির হয়ে উঠেন নাসির ক্যাম্পে যোগ দিতে।নাসিরদের বাসা থেকে রংপুর স্টেডিয়ামের দুরত্ব ছিলো প্রায় ২কিলোমিটার।সামর্থ্য ছিলোনা বলে কষ্ট করে রোজ রোজ দূরের পথ পায়ে হেঁটেই যেতেন নাসির।ক্যাম্পে যোগ দেবার কারনে প্রতিদিন ১ শত করে টাকা দেয়া হতো।মজার ব্যাপার, সেই টাকা পুরোটাই জমিয়ে রাখতেন ভবিষ্যতের স্বপ্ন ক্রিকেটার হওয়ার পেছনে ব্যায় করতে।একটা সময় যানা হলো চূড়ান্ত ভাবে নাছিরকে বাছাই করা হয়নি।পরিবারের সবাই অবাক।ক্যাম্পে অনেক ভালো করেও কেন বাদ পড়ল তা অজানাই থেকে যায় সবার কাছে।বাদ পড়ার ঘটনায় এতটাই ভেঙ্গে পড়েছিলেন যে ২/৩ দিন পর্যন্ত খাওয়া ও মুখে দেয়নি সেদিনের ক্রিকেট পাগল কিশোর নাসির। কিশোর নাসির আছে ক্রিকেটের প্রতি দুর্বার আকর্ষণ-আগ্রহ সেই সাথে উজ্জ্বল প্রতিভার সম্ভাবনা উপলব্ধি করেই যেন তাকে দলে রেখে দেয়া হয়।তবে কপালটাই খারাপ না হলে কেনইবা জুনিয়র আসরটা স্থগিত হয়ে যাবে কোন এক কারণে জীবনের প্রথম কোচিং ক্যাম্পে প্রথমাবস্থায় বাদ পড়াটাই যেন সেদিনের ক্রিকেট ক্রেজী বয় নাসিরের আরো ভাল করার আর উপরে ওঠার জিদটা এনে দিয়েছিলো বেশি করে।

ঢাকার পথে: অত:পর অনেক আশা-স্বপ্ন বুকে নিয়ে বন্ধুদের সাথে পাড়ি জমান ঢাকায়।সাথে আছে অনেক যত্নে নিজের জমানো মাত্র ৩ হাজার টাকা।স্বপ্নের লক্ষ্যটা আর কিছুই নয় সিড়ি বেয়ে উপরে উঠার জন্য বড় একটা সুযোগ।প্রথম স্বপ্নটা হলো বিকেএসপিতে ভর্তি।বিকিএসপিতে প্রাথমিক ক্যাম্পেইন শেষে ছটফট করতে করতেই আবার বাড়ীতে ফেরা। ২০ দিন পর চিঠি এলো।খামটা খুলেই সেদিনের ক্রিকেট পাগল কিশোর নাসিরের সে কি আনন্দ-উল্লাস।আর চিৎকার করে বলতে থাকলেন বাবা..মা..টিকে গেছি।টিকে গেছি। সেবার বিকেএসপির সেই ভর্তি লড়াইয়ে ১ হাজার কিশোর প্রতিভা অংশ নিলেও চূড়ান্ত ভাবে বাছাই করা হয় মাত্র ২০ জনকে।কিন্তু হায় খুশির মাঝেও যে ছিলো ক্ষণিকের যন্ত্রনা।অস্বচ্ছল এই পরিবারের ছেলেটা কিভাবে ঢাকায় থাকবে।সবারই দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দেখা দেয় বড় খরচ কেমন করে সামলানো হবে।সিদ্ধান্তের টানাপড়নে থাকলো বাড়ির সবাই।একটা সময় নাসিরের ভর্তির ব্যাপারটা ফাইনাল হলো।মহা খুশিতে নাসির।

সংগ্রামী জীবন: বিকেএসপিতে সুযোগ ২০০৪ সালে।সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হলেন।কিন্তু পিছু ছাড়েনি অভাব অনটন।বাবা মায়ের স্নেহ আদর পেতে মন টানলেও বাড়তি খরচের কথা ভেবে যাওয়া হতনা তার।প্রায় দু’তিন মাস পর পর  যেতেন আপন ঠিকানায় নিজ বাড়িতে।ওসময়টায় বিশেষ করে চাচারা হেল্প না করলে বাড়িতেও যাওয়া হয়ে উঠত না নাসিরের।তবে অভাব কখনই নাসিরকে হতাশায় ডুবে মারেনি। বরং প্রতিনিয়ত তাকে আরো জেদী ও সিরিয়াস করে তুলেছে।নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে দিনের পর দিন অনেক কষ্টের মাঝেও ঘাম ঝড়িয়ে গেছেন নিরলস অনুশীলনের মাঝে সময় কাটিয়ে।

স্বপ্ন পূরনের পথে: ধাপে ধাপে স্বপ্ন পূরণের আর প্রতিষ্ঠার লক্ষে যেন এগিয়ে যাচ্ছেন নাসির।সে সবারই ভাল করে যানা।নাসিরের জীবন সংগ্রামে এগিয়ে আসা হয়েছে অনেক কষ্ট-যন্ত্রনা আর দঃসময় দুরে ঠেলে দেয়ার মাঝে।দেশের হয়ে খেলে পেয়েছেন যেমন খ্যাতি-সুনাম তেমনি জুটেছে অনেকের ভালবাসা।সেই বিকেএসপিতে ভর্তি হবার সময় সাথে ছিলো জমানো ৩ হাজার টাকা।আজ হয়েছে অনেক কিছু।দেশের হয়ে খেলার কারণই আজ নাসির প্রতিষ্ঠিত।সেই রংপুরের নাসিরকে আজ ক্রিকেট বিশ্ব চেনে বাংলাদেশের নাসির হিসেবে।তাই ভাল খেলে দেশকেও দিতে চান অনেক কিছু।এই অনেক কিছুই যেন এক একটি ম্যাচ ফিনিশিং মনমাতানো ব্যাটিংয়ের ঝলকানি।যেমনটি দিয়ে ভক্তদের কাছ থেকে পেয়েছেন মিষ্টার ফিনিসার ডাক।

অভিষেক: ২০১১ সালের ১৪ আগস্ট হারারেতে আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক ঘটে অলরাউন্ডার নাসির হোসেনের।সেই ম্যাচেই ৬৩ রান করে ভালোভাবেই জানিয়েছিলেন নিজের আগমনী বার্তা।

ব্যাট,বলও ফিল্ডিংয়ে নাসির

বাড়িতে ফেরা: প্রতিষ্টিত হবার পর জাতীয় দলে ভাল খেলে যখনই নাসির বাড়িতে মায়ের কাছে ছুটে গেছেন দেখেছেন মায়ের চোঁখে জ্বল।জানতে চাইলে মা বলেন এ তোর সাফল্যের সুখের আনন্দ অশ্রু।অনেক আদরে মা কখনই বুঝতে দিত না সে চোঁখের জ্বলের মাঝেও যে লুকিয়ে আছে সংসারের সেই দুঃসময়ের দিন গুলোর কথা।মা হয়তবা এইভেবে চোঁখের জ্বল ফেলতেন যে নাসির একবেলা পেট ভরে খেতে পারতো না,পরিবার থেকে একটা নতুন জামা পেত না,নিজের একটা ব্যাটও ছিল না সে আজ বাংলাদেশের নাসির।তবে আজকের নাসির সেই নাসিরকে কখনোই বড় উচ্চতায় দেখে ভুলে যায়না।কারন বার বার কানে ভাসে মায়ের উপদেশ মাখা একটা কথা “মা বলতেন বাবা কখনো অতীতকে ভুলে যাস না “।যাইনি ভুলে।

এখন পর্যন্ত খেলেছেন: এখন পর্যন্ত ১৯ টেস্ট, ৬১ ওয়ানডে ও ৩১ টি-টোয়েন্টি খেলা নাসির এখন দাঁড়িয়ে ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে সর্বশেষ ২০১৭ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সিলেট সিক্সার্সের অধিনায়েকের দায়িত্ব পালন করেন।

বিসিবির সভাপতির ভালোবাসায় সিক্ত নাসির।

নাসিরের শখ:

এক. গাড়ি: গাড়ির প্রতি নাসির রয়েছে টান। নিজেই বলেন,‘গাড়ি কিনলেন, কতটা রোমাঞ্চিত ছিলেন, স্মৃতির পাতা উল্টে বললেন সেটিও। গাড়ি কিনেছিলাম চট্টগ্রামের রুবায়েত ভাইয়ের কাছ থেকে। গাড়ি আনতে আমার বড় ভাই চট্টগ্রামে গিয়েছিল। সেদিন তার রাতেই ফেরার কথা ছিল। কিন্তু ফিরলেন পরের দিন সকালে। গাড়ির রোমাঞ্চে রাতে আমার ঘুম আসেনি! গাড়ি এল ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে। কেনার আগে গাড়ি চালানো শিখে ফেলেছিলাম। ওই ভোরেই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম।`

দুই. মাছ ধরা: নাসির মাছ ধরতে খুব ভালোবাসেন। সময় পেলেই পুকুর কিংবা দিঘির পাড়ে বসে যান ছিপ নিয়ে। তার মৎস শিকার সাধারণত রংপুরেই হয়। ঢাকা থেকে ভাই-বন্ধুদের আগাম বলে দেন।` ওরা সবকিছু প্রস্তুত করে রাখে। যখন রংপুরে যাই, দুনিয়ার সবকিছু ভুলে যাই। রংপুরের বন্ধুদের সঙ্গে এখানে-ওখানে ঘুরে বেড়ান। এটি অনেক উপভোগ করি।বড় ভাই, ছোট ভাইদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলি। বন্ধুদের সঙ্গে অনেক আড্ডা দিই। ঢাকায় বিভিন্ন ধরনের বন্ধু। রংপুরে সবাই ছোটবেলার বন্ধু। এই বন্ধুদের সঙ্গে অন্যদের তুলনা হয় না।`

নাসিরের লাইফ স্টাইল

তিন. সিনেমা: সিনেমা দেখতে বেশ পছন্দ করেন নাসির। কিন্তু সময়ের অভাবে সেটি হয় না। বিমানে দেশে ফেরার পথে একবার সিনেমা দেখে ভীষণ কেঁদেছিলেন।যদিও মনে করতে পারেননি সিনেমাটার নাম।বাংলা সিনেমা ছিল। `অনেক কেঁদেছিলাম। কম্বল দিয়ে নিজেকে ঢেকে রেখেছিলাম। কিছুক্ষণ পর খেয়াল করলাম আমাকে কেউ দেখছে কি না। কম্বল দিয়ে চোখ মুছেছি।'

চার. ক্রিকেটের বাইরে প্রিয় দল: ক্রিকেটের বাইরে তার প্রিয় খেলা এবং দল সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন,তার প্রিয় খেলা ফুটবল। প্রিয় দল আর্জেন্টিনা। ফুটবল ক্লাবের মধ্যে পছন্দ বার্সেলোনা। মজার ব্যাপার হচ্ছে লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো দুজনই তার প্রিয় ফুটবলার।

দুষ্টমিতেও পটু: শুধু মাঠেই নয়।মাঠের বাইরেও দুষ্টুমিতে পটু নাসির।যেখানে তিনি যাবেন সেখানে দুষ্টুমি হবেনা সে কি হয়? নাসির মাতিয়ে রাখেন চারপাশ।এমনাকি মাঠে আম্পায়ার থেকে শুরু করে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথেও মজা করতে ভুল করেন না এই অলরাউন্ডার। 

মাঠে আম্পায়ারের সাথে দুষ্টমিতে নাসির

* ম্যাশের ভবিষ্যৎ বাণী: মাশরাফী তার খেলা দেখে বলেছিলেন-“তোর যা গড় তা ধরে রাখার চেষ্টা কর, চেষ্টা কর আরো উন্নতির। তুই দলের ভবিষ্যত।” নিয়মিত পারফরম্যান্সের কারণে নাসিরের নাম হয়েছিল `মি. ফিনিশার' ও `মি. কনসিসটেন্স'। কিন্তু সেই নাসিরই দলে অনিয়মিত, অবশ্য পারফরম্যান্সের জন্য নয়।

নাসির হোসেন বাংলাদেশের তরুণ অলরাউন্ডারদের মধ্যে একজন, যদি সঠিকভাবে পরিচালিত হয়, তাহলে জাতীয় দলের জন্য সব ধরনের ফর্মের দীর্ঘমেয়াদী প্রত্যাশা হতে পারে। একটি নিম্ন মধ্যমাঠ ব্যাটসম্যান হিসাবে, নাসির বিভিন্ন গিয়ারে ব্যাটিং করতে পারে ম্যাচ পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে; একটি অফ স্পিনার হিসাবে তিনি নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিকতা; এবং তার ফিল্ডিং সম্ভবত তার খেলা সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ অংশ।

ওয়ানডে কাপ্তান মাশরাফীর বুকে নাসির

সব্যসাচী: নাসির হোসেন! এই আছেন, এই নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে এই তার বর্তমান অবস্থা। এই আসা-যাওয়ার মাঝে নাসির হোসেনের মনের গভীরে যে ছবি আঁকা হয়ে গেছে, তা শুধুই বেদনার। তবে নাসির সেই বেদনাকে নিয়েছেন তার ফিরে আসার অস্ত্র হিসেবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে নাসিরের আবির্ভাব ফিনিক্স পাখির মত। একটা সময় তিনি ছিলেন জাতীয় দলের অপরিহার্য সদস্য। তার হাত ধরেই বাংলাদেশ দেখেছে অনেক ম্যাচের সফল সমাপ্তি।

সবশেষে: তাই ভক্তদেরও আশা আবার আসবেন ফিরে নতুন রুপে।ধরবেন আবার দেশের হাল।  

গোনিউজ২৪/এএস/এআর

খেলা বিভাগের আরো খবর
সাকিব অধ্যায়ের ইতি টেনে তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক শান্ত

সাকিব অধ্যায়ের ইতি টেনে তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক শান্ত

বিপিএল থেকে সরে হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন মাশরাফি

বিপিএল থেকে সরে হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন মাশরাফি

কী রোগে ভুগছেন সাকিব, জানালো দেশের এবং বিদেশের চিকিৎসকরা

কী রোগে ভুগছেন সাকিব, জানালো দেশের এবং বিদেশের চিকিৎসকরা

T20 World Cup 2024 : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি

T20 World Cup 2024 : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি

উইজডেনের বর্ষসেরা একাদশ প্রকাশ, ভারতের জয়জয়কার

উইজডেনের বর্ষসেরা একাদশ প্রকাশ, ভারতের জয়জয়কার

১১০ রানে অলআউটের পরও দারুণ লড়াই করেই হারল বাংলাদেশ

১১০ রানে অলআউটের পরও দারুণ লড়াই করেই হারল বাংলাদেশ