এখনবধি চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতেছেন লিওনেল মেসি। সবগুলোই বার্সেলোনার হয়ে (২০০৯, ২০১১ ও ২০১৫ সালে)। যদিও ২০০৬ সালে শিরোপা জয়ে শেষ ষোলোর পর আর খেলেননি মেসি। ফাইনালে শিরোপা জয়ের উৎসবেও যোগ দেননি ইচ্ছা করেই।
সম্প্রতি ১৫ বছর আগের সেই ঘটনার স্মৃতিচারণ করে আক্ষেপে পুড়লেন লিও মেসি। বললেন, অমনটা করার কারণে তিনি খুব লজ্জিত।
আসলে কি করেছিলেন মেসি?
ফ্রান্স ফুটবলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে মেসি জানান, ২০০৬ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগের সেই ফাইনালে তাকে না নেওয়ায় হতাশ হয়েছিলেন। যে কারণে বার্সার শিরোপা জয়ের উৎসবেও যোগ দেননি। উৎসবের সময় ড্রেসিংরুমেই একা বসে ছিলেন! দলের সতীর্থ রোনালদিনহো-ইতোদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করেননি।
মেসি বলেন, ‘এমনটা করার কারণে আমি খুব লজ্জিত। কী হচ্ছে, সেটা আসলে বুঝতে পারিনি তখন। ওই মুহূর্তে শুধু ম্যাচ খেলতে না পারার কষ্টের কথাই মাথায় আসছিল। সেদিন অন্তত বেঞ্চে থাকতে পারলেও ভালো লাগত। চেলসির বিপক্ষে চোটে পড়ার আগপর্যন্ত আমি চ্যাম্পিয়নস লিগে ভালোই খেলছিলাম। তাই ফাইনাল খেলতে না পেরে অনেক হতাশ ছিলাম সেদিন। কিন্তু ম্যাচের পরের ওই ঘটনার জন্য এখন অনেক বেশি অনুতাপ হয়।’
উৎসবে যোগ না দিয়ে পরে কেন অনুতাপে ভোগেন, সে বিষয়েটিও পরিস্কার করেন মেসি।
বলেন, ‘আমরা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিলাম, তখন মনে হচ্ছিল, এরপর হয়তো আর কখনো জেতাই হবে না এটা। কারণ, এ টুর্নামেন্ট জেতা অনেক কঠিন। সৌভাগ্যবশত পরে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয় উপভোগ করার সুযোগ হয়েছিল আমার।’
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৮ বছর বয়সি মেসি শুরু থেকে দারুণ খেলছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় লেগে চেলসির বিপক্ষে বড় চোট পান। যে কারণে কোয়ার্টার আর সেমিফাইনালে খেলা হয়নি তার।
ফাইনালের আগে চোট সেরে উঠলেও তাকে একাদশে রাখেননি সে সময়ের কোচ বার্সা কোচ ফ্রাঙ্ক রাইকার্ড।
সেই ফাইনালে আর্সেনালকে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতে বার্সেলোনা।