টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই হলেও টেস্ট সিরিজের শুরু থেকেই ভারতকে বেশ চাপে রেখেছে নিউজিল্যান্ড। কানপুরে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারতের ৩৪৫ রানের জবাবে বিনা উইকেটে ১২৯ রান তুলে নিয়ে কিউইরা যেন বোঝাতে চাইছে, কেন তারা আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল!
গতকাল দ্বিতীয় দিন ভারতকে হতাশা উপহার দিয়ে দুই কিউই ওপেনার উইল ইয়াং ৭৫ ও টম ল্যাথাম অপরাজিত আছেন ৫০ রানে।
ল্যাথাম শুধু ইশান্ত শর্মা-রবিচন্দ্রন অশ্বিনদের সমন্বয়ে গড়া ভারতীয় বোলিং লাইনআপেরই নয়, বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছেন দুই ভারতীয় আম্পায়ার নিতিন মেনন ও বীরেন্দর শর্মাকেও। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তে তাঁদের দক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল কাল।
মধ্যাহ্নভোজ বিরতির পর নিজেদের প্রথম ইনিংস শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। চা বিরতিতে যাওয়ার আগেই দুবার আউট হতে পারতেন টম ল্যাথাম। প্রথমবার রানের খাতা খোলার আগেই।
তৃতীয় ওভারে ইশান্ত শর্মার বলে ল্যাথামকে এলবিডব্লিউ দিয়েছিলেন আম্পায়ার নিতিন মেনন। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন কিউই ওপেনার। রিভিউতে দেখা গেছে, বল ব্যাটে লেগেছিল।
ইনিংসের ১৫ তম ওভারে আবার ল্যাথামকে আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার মেনন। এবার রবীন্দ্র জাদেজার বলে এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্ত। আবারও ডিআরএসের দ্বারস্থ হন ল্যাথাম। এবারও বল প্যাডে লাগার আগে ব্যাট স্পর্শ করেছিল ল্যাথামের। বাঁহাতি ব্যাটারের রান তখন ১০।
ল্যাথামের সঙ্গে আম্পায়ারদের অমিলের সর্বশেষ ঘটনা একদম শেষ বেলায়। দিনের শেষ ওভারের আগের ওভারে অশ্বিনের বলে ল্যাথামকে ক্যাচ আউট দেন আরেক অনফিল্ড আম্পায়ার বীরেন্দর শর্মা। তৃতীয়বারের রিভিউতে দেখা গেল ব্যাটে বল লাগেনি। সেটাই ল্যাথামকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। ততক্ষণে অবশ্য ফিফটি হয়ে গেছে তাঁর।
দিন শেষে এ নিয়ে তাই মজা করতে ভোলেননি নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার জিমি নিশাম। একসময় কোনো সিরিজেই রিভিউ নিতে চাইত না ভারত। সেই দিনগুলোর সুবিধার কথা ভারতকে মনে করিয়ে তাঁর টুইট, ‘টম ল্যাথাম যদি সেঞ্চুরি পায়, ভারত হয়তো ঘরের মাঠে রিভিউর ব্যবহার বাতিল করতে চাইবে!’
এমনিতে টেস্ট ম্যাচে নিরপেক্ষ আম্পায়ারদের দায়িত্ব পালনের নিয়ম থাকলেও করোনাকালে কোয়ারেন্টিন ও বায়ো-বাবলের কথা মাথায় রেখে স্থানীয় আম্পায়ারদেরই ম্যাচ পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে আইসিসি।