ম্যাচ হারলে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায় বাংলাদেশের মিডিয়া এবং সমর্থকদের। ম্যাচ হারার পরদিন যদি কোনো ক্রিকেটার অনুশীলনে না যায় তখন ওই ক্রিকেটারকে নিয়ে অনেক সমালোচনা হয় ক্রিকেট পাড়ায়। এই ধরনের সংস্কৃতির কোনও ইতিবাচক দিক নেই বলে মনে করেন তামিম ইকবাল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছে বাংলাদেশ। এক দিন পরই, আগামি ১৯ অক্টোবর ওমানের বিপক্ষে খেলতে নামবে মাহমুদউল্লাহবাহিনী। ম্যাচ হারার পর নিজেদের শারিরিক ও মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখার জন্য মাঝে মাত্র একদিন (১৮ অক্টোবর) সময় পাচ্ছে বাংলাদেশ।
আর তাই সেই একদিনকে নিজেদের মতই ব্যবহার করা উচিত বলে মনে করেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বা এই ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ক্রিকেটারদের স্কিলে উন্নতির সুযোগ কম বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। পুরো বিষয়টি বোঝাতে ভারতের অধিনায়ক ও বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলির উদাহরণ টানেন তিনি।
ক্রিকফ্রেঞ্জিতে প্রচারিত নগদ প্রেজেন্টস দ্য তামিম ইকবাল শো'তে তামিম বলেন, 'আমাদের দেশের জনগণের বা মিডিয়ার একটা চিন্তা এমন যে, আজকে ম্যাচ হেরেছে কাল অনুশীলনে যেতেই হবে। কাল যদি কাউকে মাঠে না দেখেন তাহলে সেটা নিয়ে আলোচনা। করেছে পাঁচ রান কিন্তু অনুশীলনে যায় নি.. এমন আরকি। বিষয়টা আসলে এমন না। যখন আপনি একটা প্রতিযোগিতায় থাকবেন তখন গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমার মানসিকভাবে কতোটা শান্তি পাচ্ছেন, আপনার শরীর কতটুকু বিশ্রাম পাচ্ছে।'
তামিম আরও বলেন, 'একদিন ব্যাটিং করে আপনি ব্যাটিং শিখে ফেলবেন না। অনুশীলনে দুই ঘণ্টা ব্যাটিং করে আপনি বিরাট কোহলি হতে পারবেন না। ওটা চেষ্টা করতে হয় যখন খেলা না থাকে। যখন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিচ্ছি, এমন সময়ে। কাল যদি কেউ অনুশীলনে না যায় সেটাও ভালো। আমি অন্য দলে দেখেছি। আমাদের দলেও দেখেছি যে অনুশীলন করেনি কিন্তু পরের দিন সেঞ্চুরি করেছে। এমনও হয়েছে অনুশীলনে যায়নি, শুন্য করেছে।'
তবে ওমানের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে যদি টিম ম্যানেজমেন্ট এবং ক্রিকেটারদের সবাই মনে করেন মাঝের দিনটি অনুশীলন করেই কাটাবেন তারা, তাহলে সেটাই উচিত বলে মনে করেন তামিম।
দেশ সেরা এই ওপেনার বলেন, 'আমার মনে হয় দলের সবাই যদি একসঙ্গে অনুভব করে যে কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিতে আরও অনুশীলন প্রয়োজন, তাহলে ওরা ওটা করবে। এটা পুরোটাই ওদের ওপর।'-ক্রিকফেঞ্জি