ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে 'বিএনপি প্রার্থীদের পোস্টারে কেন দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদার ছবি', নির্বাচন কমিশনের কাছে সেই প্রশ্ন রেখেছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচার কচিকাঁচার মেলার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জয়-বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোটের আয়োজনে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আজকে যখন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে কথা হচ্ছে, তখন নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে, বিভিন্ন জায়গা থেকে লেভেল প্লেয়িং নিয়ে কথা হচ্ছে। আমি নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, মাহবুব তালুকদার সাহেব আপনি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে শপথ নিয়েছেন, লেভেল প্লেয়িং বলতে আমরা কি বুঝি? বাংলাদেশে যখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিরা নির্বাচন করবে আর সেই নির্বাচনে যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি- স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, সেই নির্বাচনে কখনও লেভেল প্লেংয়িং ফিল্ড হতে পারে না। লেভেল প্লেয়িং তখনই হবে যখন একজন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আরেকজন নির্বাচন করবে।
অপরাধীর ছবি সংবলিত পোস্টার দিয়ে নির্বাচন করার অধিকার নেই দাবি করে নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন, কিন্তু ঘাতকরা সেই সুযোগ বঙ্গবন্ধুকে দেয় নাই। তারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের। আমাদের মনের মধ্যে অনেক কষ্ট আছে, ব্যাথা আছে। তারপরেও আইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল আছি, তার মানে এই নয়, যুদ্ধাপরাধী আর স্বাধীনতাবিরোধী যারা আছে তাদের মেনে নিব।
তিনি বলেন, বাংলার মানুষ কখনও এই স্বাধীনতা বিরোধীদের মেনে নেবে না। জিয়া-এরশাদ-খালেদারা অনেক চেষ্টা করেছে এই যুদ্ধাপরাধীদের বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া, যিনি আজকে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তার ছবি দিয়ে বিএনপি প্রার্থীরা পোস্টার করছে। দণ্ডপ্রাপ্ত, অপরাধীর ছবি পোস্টারে দিয়ে নির্বাচন করার অধিকার নেই। নির্বাচন কমিশনের কাছে আমি প্রশ্ন রাখতে চাই, একজন অপরাধীর ছবি সংবলিত পোস্টার কিভাবে করা হয়!
জয়-বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোটের সভাপতি সালাউদ্দিন বাদলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন গীতিকার শাফাত খৈয়াম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান সুলতান প্রমুখ।
গো নিউজ২৪/আই