ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অবদানের জন্য কোনো পুরস্কার বা স্মারক গ্রহণ করেননি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, একটি সংগঠন তাদের প্রথাগতভাবে আমাকে সম্মাননা জানিয়েছে। একটি বিতর্ক অনুষ্ঠানে অন্য সবার সাথে আমাকেও একটি স্মারক তুলে দেয় আয়োজকরা। কিন্তু এটি ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। কোনো বিষয়কে আংশিক বা ভুলভাবে পরিবেশন করা দুঃখজনক।
শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জ সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে শুক্রবার ডেঙ্গু নিয়ে দেশজুড়ে উদ্বেগের মধ্যেই মশাবাহিত এই ‘রোগ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকার’ জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের হাতে সম্মাননা তুলে দেয় একটি সংগঠন।
এফডিসিতে ‘শুধু সরকারি প্রচেষ্টা নয়, জনসচেতনতাই পারে ডেঙ্গু প্রতিরোধ’ শীর্ষক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের শেষে ‘ডেঙ্গু মোকাবেলায় সর্বাত্মক চেষ্টার জন্য’ তার হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন বিতর্কের আয়োজক প্রতিষ্ঠান ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনায় মেতে ওঠেন অনেকেই।
এদিকে হবিগঞ্জে রোহিঙ্গা সম্পর্কীত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে প্রত্যাবর্তন করাটাই সমাধানের উত্তম পন্থা। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রী পরিষদ কাজ করে যাচ্ছে। যাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছেন। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থাও এ ব্যাপারে কাজ করছে। এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
পরে তিনি হবিগঞ্জ পৌরসভা আয়োজিত শোকসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। মেয়র মিজানুর রহমান মিজানের সভাপতিত্বে শোকসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান, সংসদ সদস্য গাজী শাহনওয়াজ মিলাদ, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী খলিলুর রহমান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শেখ মো. মুয়াইমিন, তত্ববধায়ক প্রকৌশলী বিপুল চন্দ্র বণিক, এলজিইিডির নির্বাহী প্রকৌশলী আবু জাকির সেকান্দার ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান শহীদ উদ্দিন চৌধুরী প্রমূখ।
গো নিউজ২৪/আই