সংসদকে অবৈধ বলার পরও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিতদের সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন আজ কারাগারে, তিনি যেখানে চিকিৎসাধীন আছেন সেখানে বোমা পাওয়া গেছে। তার জীবন হুমকির মুখে। আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাগারে। লক্ষাধিক মামলা রয়েছে নেতাকর্মীদের নামে। সংসদে এসব বিষয়ে আলোচনা করতেই নির্বাচিতরা শপথ নিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জনগণের ঐক্য জনগণের স্বার্থেই তারা সংসদে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তে এসেছে।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় জোটের শরিক জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রবের উত্তরার বাসায়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ঘণ্টাখানেক বৈঠকের পর আ স ম আবদুর রব সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। সেইসঙ্গে সরকারের বিভিন্ন 'অনিয়ম', 'দুর্নীতির' চিত্র তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, সরকারবিরোধী প্রধান জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব দল ও ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাবে।
বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে 'স্বৈরাচার' উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গতে তোলা হবে বলে জানান তিনি।
আ স ম রব বলেন, পরবর্তীতে ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারের বৈঠকে আন্দোলনের পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ হবে।
এছাড়া কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে বর হয়ে যাওয়ার যে শর্ত দিয়েছিলেন সে বিষয়ে তার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান আ স ম আব্দুর রব।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির স্থায়ীর কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, দলটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক বীর হাবিবুর রহমান তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাঈদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, নাগরিক ঐক্যের যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. জাহিদুর রহমান, নাগরিক ঐক্যের নেতা মমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
গো নিউজ২৪/আই