অবৈধভাবে বাংলাদেশে আসায় ৪৯৫ জনকে আটক হয়েছে। এদের মধ্যে ৫৭ জনের শাস্তি হয়েছে বলে জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানা খাঁন কামাল।
শনিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে মানব পাচার প্রতিরোধে ইউএনডিপির সহযোগিতায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত দিনব্যাপী সেমিনারের প্রথম সেশনে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কারাগারে ৪৯৫ জন বিদেশি আটকে রয়েছেন, এদের মধ্যে ৫৭ জন কনভিকটেড। ৮৬ জন মুক্ত হলেও তাদেরকে কোনো দেশ নিতে আসছে না, ফলে বাধ্য হয়েই তারা কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
ডিমান্ড অ্যান্ড সাপ্লাইয়ের কারণে মানবপাচার হয় মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মানুষ পাচার করা হয়। তবে এখন প্রলোভিত হওয়া মানুষদের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে আসছে। অমরা এখন একটি ভালো জায়গায় আছি। অনেকে এখন বাংলাদেশে আসছেন নিজেদের ভাগ্য বদলানোর জন্য। বাংলাদেশ থেকে মানবপাচারের ফিগার অনেক কমেছে।
তিনি আরো বলেন, দেশের প্রতিটি জেলায় মানবপাচার রোধে পুলিশের কমিটি রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হয়। এছাড়া বর্ডার এলাকায় বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই বাংলাদেশে রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক এ অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে। বর্তমানে ১১ লাখের মতো রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে রয়েছেন। তাদের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ বেঁচে থাকা।
গো নিউজ২৪/আই