ঢাকা: একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাওয়া এবং জামায়াত বিলুপ্তির প্রশ্নে দলের ভেতরে নতুন করে যে আলোচনা উঠেছে, তা নতুন মাত্রা পেয়েছে। এর রেশ ধরে শুক্রবার দলের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও বিশিষ্ট আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক পদত্যাগ করেছেন।
এদিকে ব্যারিস্টার রাজ্জাকের পদত্যাগের রেশ না কাটতেই জামায়াতে ইসলামী থেকে বহিস্কৃত হলেন মজিবুর রহমান মঞ্জু। মঞ্জু ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাড়াও ছিলেন জামায়াতের উদীয়মান নেতা।
জামায়াত সূত্রে, শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মকবুল আহমদের পক্ষ থেকে নির্বাহী পরিষদের এক সদস্য তার দলীয় সদস্যপদ বাতিলের তথ্য নিশ্চিত করেন।
সূত্র আরো জানায়, বেশ কয়েক বছর যাবত সংগঠনের কিছু বিষয়ে মঞ্জু দ্বিমত করে আসছিলেন। মৌখিক ও লিখিত ভাবে বৈঠকসমূহে তিনি তার দ্বিমত ও পরামর্শের কথা জানানোর পাশাপাশি আকারে ইংগিতে-প্রকাশ্যেও ভিন্নমত প্রকাশ করেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শীর্ষ শিবির নেতা মজিবুর রহমান মঞ্জুর বহিস্কারের সঙ্গে আরেক নেতা ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের পদত্যাগের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জামায়াতের পক্ষে দাবি করা হলেও দলের মধ্যে নানা বিষয়ে মতাদর্শগত দ্বন্দ্ব যে চরমে তা স্পষ্ট হচ্ছে। এর সঙ্গে জামায়াত বিলুপ্ত হওয়া কিংবা অন্য নামে নতুন করে দলকে সংগঠিত করার বিষয়গুলোও সামনে চলে আসছে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মঞ্জু ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, শুক্রবার আনুমানিক রাত সাড়ে সাতটার দিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সম্মানিত আমীর জনাব মকবুল আহমদের পক্ষ থেকে নির্বাহী পরিষদের একজন সম্মানিত সদস্য আমাকে জানান যে আমার দলীয় সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।
গো নিউজ২৪/এমআর