ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মান্নার প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত!


গো নিউজ২৪ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০১৮, ০৯:২২ এএম
মান্নার প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত!

ঢাকা: দীর্ঘ ১০ বছর ক্ষমতার বাহিরে থাকা দেশের বৃহত্তর দল বিএনপি ও বিরোধী জোটসহ অন্যান্য দলগুলোর নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণায় জমজমাট নির্বাচনের ময়দান। নির্বাচন ঘিরে বাড়ছে নেতাকর্মীদের ব্যস্ততা। দলীয় মনোনয়ন পেতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। সামনের কয়েক দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত হবে প্রধান দুই জোটের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নাম।

এদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়া আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়ার যে আসন থেকে নির্বাচন করতে চান, সেখানে জামায়াতে ইসলামীও প্রার্থী দিতে চাইছে। বগুড়ায় মোট দুটি আসনে প্রার্থী দিতে চায় দলটি, তার মধ্যে বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনটিও আছে।

এই আসন থেকে মান্না ভোটে দাড়িয়েছেন মোট তিনবার। এর মধ্যে দুবার নৌকা প্রতীক নিয়ে এবং একবার অন্য একটি দলের হয়েছে। কখনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেননি। আর যে বছর নৌকা ছাড়া দাড়িয়েছেন, সে বছর হারিয়েছেন জামানত।

আসনটিতে বিএনপি ও জামায়াত দুই দলেই বেশ ভালো ভোট আছে। এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালের নির্বাচনে এখানে বিএনপিকে হারিয়েও দেয় জামায়াত। ১৯৯৬ সালেও তারা দ্বিতীয় হয়, ওই বছর তাদের ভোট আর বাড়েনি, যদিও বিএনপির ভোট বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়। এরপর ২০০১, ২০০৮ সালেও জয় পায় বিএনপি। তবে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে আসে আওয়ামী লীগ। ২০১৪ সালে আসনটিতে জাতীয় পার্টির শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ জেতেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

এই আসনে এবার মান্নার ধানের শীষের প্রতীক পাওয়া অনেকটা নিশ্চিত। ২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সংস্কারপন্থী তকমা পাওয়ার পর তিনি আওয়ামী লীগে অবস্থান হারান এবং ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পাননি। এরপর আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে গঠন করেন নাগরিক ঐক্য আর ১৩ অক্টোবর বিএনপির সঙ্গে জোটেও যান মান্না।

এই জোট গঠনের পর থেকেই নাগরিক ঐক্যের নেতার বগুড়া-২ আসনে নির্বাচন করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে ওঠে। অবশ্য তিনি ওই আসনের পাশাপাশি ঢাকাতেও একটি আসনে মনোনয়নের জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

অন্যদিকে বিএনপির আরেক জোট ২০ দলের শরিক জামায়াতের শাহাদাতুজ্জামান শিবগঞ্জ আসনে প্রার্থী হতে এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবিরের কাছ থেকে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। তবে এখনো জমা পড়েনি কাগজ। এ সময় জামায়াতের স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০-দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে এখনো আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনায় বসেনি বিএনপি। তবে দলটির নীতিনির্ধারকেরা দুই জোটের শরিকদের আসন বণ্টন নিয়ে হিসাব-নিকাশ করছেন। তারা ঐক্যফ্রন্ট ও ২০-দলীয় জোটের শরিকদের ৫০ থেকে ৬০টি আসন ছাড়তে চান। এর মধ্যে জামায়াতকে ২০টি আসন ছাড়া হতে পারে বলে জানা গেছে।তবে ২০ দলের শরিক জামায়াতে ইসলামী একাই ৬০টি আসন চায়।

গো নিউজ২৪/এমআর

রাজনীতি বিভাগের আরো খবর
রিজার্ভ বাড়াতে এবার ডলার ধার করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রিজার্ভ বাড়াতে এবার ডলার ধার করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

সংরক্ষিত নারী আসনে আ.লীগের টিকিট চান তারকা, মন্ত্রী-এমপিদের স্ত্রী, হিজড়া

সংরক্ষিত নারী আসনে আ.লীগের টিকিট চান তারকা, মন্ত্রী-এমপিদের স্ত্রী, হিজড়া

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে নিয়ে যা যা করলো ছাত্রলীগ নেতারা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে নিয়ে যা যা করলো ছাত্রলীগ নেতারা

খালেদা জিয়া ও বিএনপির জন্য দারুণ সুখবর

খালেদা জিয়া ও বিএনপির জন্য দারুণ সুখবর

ইসলামী আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ইসলামী আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

এমপি হিসেবে শপথ নেয়ার পর এক টাকাও আমার হাতে আসে নাই : সুমন

এমপি হিসেবে শপথ নেয়ার পর এক টাকাও আমার হাতে আসে নাই : সুমন