রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় কোমর বেধে মাঠে নেমে পড়েছে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) মেয়র- কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
রংপুর নির্বাচন অফিসের আঞ্চলিক কার্যালয়ে রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার সুভাষ চন্দ্র সরকার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করছেন। প্রার্থীরা প্রতীক পাওয়ার পর মিছিল নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অফিসে থেকে নিজ নিজ ওয়ার্ডেও দিকে ফিরে যান। এরপর অনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন তারা।
এদিকে সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রতীক পাওয়ার পর জানান, এলাকার জনগণের সেবা করতে এবং এলাকার রাস্তাঘাট, ড্রেন, কালভার্টসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ করতে চান। সেই সঙ্গে নিজেদের ওয়ার্ডকে মাদকমুক্ত এবং সন্ত্রাসমুক্ত মডেল ওয়ার্ড হিসেবে গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তারা।
২১নং ওয়ার্ড থেকে তিনবার নির্বাচিত হয়েছিলেন মাহবুবার রহমান মঞ্জু। এবারো তিনি কাউন্সিল পদে নির্বাচন করছেন। ঘুড়ি প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এলাকার মানুষের জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। তাদের সুখে দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আমার ওয়ার্ডেও প্রতিটি এলাকায় সম-উন্নয়ন নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। আশা করি এবারো জনগণ আমাকেই নির্বাচন করবেন’।
৩২নং সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল কাশেম জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি নির্বাচিত হয়ে জণগণের সেবা করে যাচ্ছেন। এলাকার উন্নয়ন কর যাচ্ছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এবারো তিনি জণগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন।
৩৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম জানান, ‘আমার ওয়ার্ডে নানা সমস্যা রয়েছে। রাস্তাঘাট, ড্রেন সংস্কার করা হয়নি। অনেক ব্রিজ-কালভার্ট ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এসব সমস্যা সমাধানে আমি নির্বাচিত হলে আন্তরিকভাবে কাজ করব’।
সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর প্রার্থী (৩১,৩২ ও ৩৩নং ওয়ার্ড) নাজমুন নাহার নাজমা জানান, ‘নারীরা এখনও চরম বৈষম্যের শিকার। তাদের উন্নয়নে আমি নিরলসভাবে কাজ করতে চাই। গতবার নির্বাচিত হয়ে অনেক উন্নয়ন করেছি। এবারো জয়ী হয়ে জনগনের সেবা করতে চাই’।
প্রসঙ্গত: রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২১১ জন এবং ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬৫ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ মেয়র পদে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বর্তমানে এ সিটি কর্পোরেশনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫৬ ও মহিলা ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৮ জন।
এরআগে ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর নবগঠিত রংপুর সিটিতে প্রথমবারের মতো নির্দলীয় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।
গো নিউজ২৪/এবি