যশোর-২ আসনের এমপি মনিরুল ইসলামের নির্দেশে স্থানীয় ক্যাডাররা গত তিন বছর দলের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করছে বলে অভিযোগ করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ।
রোববার দুপুরে (৯ জুলাই) উপজেলা ছাত্রলীগ প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন। সভাপতি এহসানুল হাবীব ও সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনসহ নেতারা এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, এমপি মনিরুল ইসলামের নির্দেশে ঝিকরগাছার নেতাকর্মী এমনকি তাদের পরিবারের ওপর গত তিন বছর অব্যাহতভাবে হামলা ও নির্যাতন করা হচ্ছে। গত ৮ জুলাই উপজেলা ছাত্রলীগ জেলা শাখার সম্মেলন সফল করতে প্রচার মিছিল করে। এ মিছিলে আসার অপরাধে এমপির নির্দেশে ইলিয়াসের নেতৃত্বে রিংকু, পালসার বাবু, আশাকুল, জনি, লালন, অর্নব, শিমুল, মুন্না, মানিক, শুভ, মিলন, মামুনসহ অনেকে ছাত্রলীগ কর্মী ফরহাদ হোসেনের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ইতোপূর্বে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের নামে একটি মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে ঝিকরগাছায় মিছিল করে ছাত্রলীগ। সেদিনও এমপির নির্দেশে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ইনামুল হাবিব জগলুকে কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা। একই দিন মিছিলে উপস্থিত থাকার কারণে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনকে গুলি করা হয়। কামালের মোটরসাইকেলটি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া এমপির ক্যাডার বাহিনীর প্রধান ইলিয়াসের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ সভাপতি এহসান হাবিব শিপলুর বাবা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফিরোজ খানকে হাতুড়ি পেটা করা হয়। আর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাপ্পী ও সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজাকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে এমপির আস্তাভাজন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুসা মাহমুদ। এভাবে ক্যাডার বাহিনী দিয়ে এমপি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।
তবে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেছেন যশোর-২ আসনের এমপি অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম। তিনি মুঠোফোনে জানান, তিনি সন্ত্রাসের রাজনীতি করেন না। তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
গো নিউজ২৪/এমবি