ঢাকা: ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি হলে তা আত্মঘাতী হবে বলে মনে করে বিএনপি।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রিজভী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭ এপ্রিল ভারত সফরে যাবেন। গণমাধ্যমের সূত্রমতে এ সফরে প্রায় দুই ডজন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে। তবে ভারত সফর নিয়ে দিল্লির মূল আগ্রহ ঢাকার সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি। দক্ষিণ-এশিয়াভিত্তিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাক্ষরিত কয়েকটি চুক্তি এবং তাদের কাছ থেকে সাবমেরিন কেনার পর ভূরাজনৈতিক নিরাপত্তার প্রশ্নে উদ্বিগ্ন ভারত। সেই উদ্বেগ দূর করতেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে প্রতিরক্ষা চুক্তির তোড়জোড় করছে ভারত। বাংলাদেশ পৃথিবীর কোনো দেশের সঙ্গে সামরিক চুক্তি করেনি। ভারতের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোজ পারিকর গত ৩১ অক্টোবর দুদিনের সফরে যখন ঢাকায় আসেন তখন ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ঢাকা-দিল্লি সামরিক চুক্তির বিষয়টি সামনে আসে।”
বক্তব্যে বলা হয়, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সামরিক চুক্তি হলে তা হবে আত্মঘাতি ও জাতীয় স্বাধীনতা বিরোধী। কারণ বাংলাদেশের নিরাপত্তা যদি ভারতের ওপর নির্ভরশীল হয় এবং ভারতের ইচ্ছা অনুযায়ী যদি প্রতিরক্ষা নীতি গ্রহণ করতে হয় তাহলে এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বলে কিছু থাকবে না। এ ধরনের রাষ্ট্রবিরোধী প্রতিরক্ষা চুক্তি হলে এদেশের জনগণ তা কখনোই মেনে নেবে না, বরং চুক্তি প্রতিরোধে সর্বশক্তি দিয়ে এগিয়ে আসবে।”
রিজভী আরও বলেন, “প্রতিরক্ষা চুক্তি একটি স্পর্শকাতর বিষয়। এর সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব জড়িত। এ চুক্তির বিষয়ে আজ দেশের মানুষ চরমভাবে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় ভুগছে। প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরে যেহেতু ভারতের প্রধান চাহিদা প্রতিরক্ষা চুক্তি, এছাড়াও আরও দুই ডজন চুক্তির কথা শোনা যাচ্ছে, তাই জনগণকে অবগত না করে গোপন চুক্তি কেউ মেনে নেবে না, বাস্তবায়ন হতে দেবে না। দাসত্বের শৃঙ্খলে বাঁধার যেকোনও চুক্তি এদেশের জনগণ, রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠন অগ্নিবর্ণ সংগ্রামে তা প্রতিহত করবে। অবশ্যই দেশের নিরাপত্তার জন্য জনগণের আবেগতাড়িত জাতীয়তাবাদ এখন প্রচণ্ড বহ্নিতাপে নতুন রূপ পরিগ্রহ করেছে।”
গোনিউজ২৪/এম