আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ছাত্রলীগ আমাদের আস্থার ঠিকানা, নির্ভরতার জায়গা। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এভাবে চলতে পারে না। এইভাবে চলবে না। সংগঠন দাঁড় করাতে হবে।
তিনি বলেন, যাদের সম্মেলনের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, তাদের সময় দিতে হবে। একটা নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে কমিটি গঠন করবেন, না হলে সেই কমিটি ওই তারিখে বিলুপ্ত বা বাতিল হয়ে যাবে। তখন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির মাধ্যমে সম্মেলন করে কমিটি ঘোষণা করতে হবে। ঢাকা থেকে কমিটি ঘোষণা দিয়েন না। এই কমিটি দিয়ে কোনো কাজ হবে না।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে রোববার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশে নানক বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর ঢাকা শহরে তখন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাতে না পারার কারণে ১০৯টি (ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন শাখা) কমিটি ভেঙে দিয়েছিলাম। বাতিল করে দিয়েছিলাম ব্যর্থতার জন্য। ১১ দিনের মাথায় আবার ১০৯টি কমিটি গঠন করেছিলাম। সেই কমিটি এখনো কাজ করছে।
তিনি বলেন, এই ছাত্রলীগ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ‘ক্যান্টনমেন্ট’। শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের পর এই ছাত্রলীগ, যুবলীগই সেনা শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করেছে। কাজেই ছাত্রলীগ আমাদের আস্থার ঠিকানা, নির্ভরতার জায়গা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ফখরুল সাহেব লম্বা লম্বা কথা বলেন। আমাদের পায়ের তলায় নাকি মাটি নেই! মিছিল করেন, মিটিং করেন, গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকেন, তার পাশে গিয়ে মাতম করেন। চন্দ্রিমা উদ্যানে গিয়ে মাতম করেন। আমাদের সহ্যের বাধ যদি ভেঙে যায়, তাহলে আপনাদের জন্য মঙ্গল হবে না।
সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার তদন্ত কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও মামলার অন্যতম সাক্ষী মেজর (অব.) (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দিন আহমদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগ সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।