ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রিয়া সাহা, একজন ভারতীয় দালাল!


গো নিউজ২৪ | ইমতিয়াজ আমিন প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০১৯, ০৫:৩৯ পিএম আপডেট: জুলাই ২০, ২০১৯, ০৭:২২ পিএম
প্রিয়া সাহা, একজন ভারতীয় দালাল!

৩৭ মিলিয়ন সংখ্যালঘু গুম হওয়ার অভিযোগ তুলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্পের কাছে নালিশ দিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা।

যে ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তোলপাড় চলছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার এই অভিযোগ যে ডাহা মিথ্যা, এতে কোনো সন্দেহ নেই। 

কেননা বাংলাদেশের মতো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিশ্বের বহু দেশেই নেই। প্রিয়া সাহা যে অভিযোগ করেছেন, তা একটু বিশ্লেষণ করলেই এটি যে মিথ্যা তার প্রমাণ মেলে। 

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।’

এরপর তিনি বলেন, ‘এখন সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। আমরা আমাদের বাড়িঘর খুইয়েছি। তারা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা আমাদের ভূমি দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি।’

এখানে কথা হচ্ছে, বাংলাদেশে কি আসলেই এতো সংখ্যক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক স্বাধীনতা পরবর্তী কোনো কালে ছিলো বা আছেন কিনা। 

প্রিয়া সাহা

উইকিপিডিয়ার সর্বশেষ তথ্য মতে, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটির কিছু উপরে। এরমধ্যে ৯০ ভাগ অর্থাৎ ১৪ কোটি ৪০ লাখের মতো মুসলিম। বাকি ১ কোটি ৬০ লাখের কিছু বেশি সংখ্যক অন্যধর্মের। এর মধ্যে ৮ দশমিক ৫ ভাগ (১ কোটি ৩৬ লাখের মত) হিন্দু, বৌদ্ধ ০ দশমিক ৬ ভাগ (৯ লাখ ৬০ হাজার), খ্রিস্টান ০ দশমিক ৪ ভাগ (৬ লাখ ৪০ হাজার) এবং আদিবাসী রয়েছেন ০ দশমিক ১০ ভাগ ।

সব মিলিয়ে বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা দাঁড়ায় দেড় কোটির মতো। 

১৯৭৫ সালে মুসলিম ছিলো ৮৬ ভাগ, হিন্দু ১৩.২ ভাগ, খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধ ছিলো ০.৩ ভাগে করে। ১৯৯০ সালে মুসলিম ৮৯ ভাগ, হিন্দু ১০, খ্রিস্টান ০.৪ এবং বৌদ্ধ ০.৫ ভাগ।

এ হিসেবে বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান নিখোঁজ রয়েছেন প্রিয়া সাহার এমন অভিযোগ ডাহা মিথ্যা ছাড়া আর কী হতে পারে?

তিনি আরো বলেছেন ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু বর্তমানে বাংলাদেশে রয়েছে, এ সংখ্যাটাও তথ্যভিত্তিক নয়। হ্যা, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর দু-চারটি নিপীড়ণের ঘটনা যে ঘটেনি তা কিন্তু নয়। অবশ্যই ঘটেছে, তবে তার পরিমাণ এবং ভয়াবহতা অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় একেবারেই নগণ্য। বিশেষ করে আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মুসলিম নিধনের তুলনায় তো নগণ্য বটেই।  

প্রিয়া সাহা যদি বিষয়টিকে তথ্যের ভিত্তিতে সাধারণভাবে তুলে ধরতেন তাহলে প্রশ্ন উঠতো না। কিন্তু তিনি যেভাবে বিষয়টিকে উপস্থাপন করেছেন তাতে প্রশ্ন দেখা দেয় আসলে তার এই পদক্ষেপের পেছনে অন্য কোনো রাষ্ট্রের বা সম্প্রদায়ের ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না। যদি থেকে থাকে সেটি কারা?

একটা কথা এখানে বলে রাখা ভালো- এই ধরণের চতুর মানুষগুলো (প্রিয়া সাহর মত) খুব ভালো করেই জানেন, কোনো বিষয়কে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে উপযুক্ত জায়গায় উপস্থাপন করতে পারলে বিশ্বের অনেক মানুষ আছেন যারা বিচার-বিশ্লেষণ না করেই বিশ্বাস করে নেবেন।  এবং তাদের সেই বিশ্বাসের ওপর ভর করে নিজেদের ফায়দা লুটে নেবেন প্রিয়া সাহার মত মানুষেরা। 

এখন কথা হচ্ছে প্রিয়া সাহার এই মিথ্যা অভিযোগের পেছনে কারা থাকতে পারে? বিষয়টি নিয়ে খুব সাধারণ বিশ্লেষণে আসা যাক। 

আমাদের প্রতিবেশী ভারতের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, বেশ কয়েক বছর ধরে সেখানে মুসলিম সম্প্রদায় ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। মোদি সরকার দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর নির্যাতনের পরিমাণ আরো বেড়ে গেছে। নির্যাতন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, প্রকাশ্যে মুসলিমদের দিয়ে ‘জয় শ্রী রাম’ বলানো হচ্ছে। না বললে একরকম ঘোষণা দিয়েই পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। তাদের আচরণ এমন ‘হয় তোমরাও হিন্দু হয়ে যাও অথবা মরো।

তাদের এই জঘন্য সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ সবসময়ই সোচ্চার থেকেছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলেও বাংলাদেশের জনগণ তাদের এই সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সবসময়ই সোচ্চার এবং সামাজিক মাধ্যমে এর তীব্র প্রতিবাদ অব্যহত রেখেছে। বলতে গেলে ভারতের সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ অনেক বেশি প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করে। এই বিষয়টি ভারত কোনো সময়ই খুব ভালো চোখে দেখেনি। 

এবার হয়তো তারই প্রতিশোধ বা পাল্টা আক্রমণ হিসেবে বাংলাদেশে দুর্নাম করতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত।

এক্ষেত্রে কাজে লাগানো হয়েছে প্রিয়া সাহার মত কিছু ব্যক্তিকে, যারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র বানিয়ে ভারতের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করছে! কেননা বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের তকমা লাগানো ভারতের পেটের মধ্যে বসবাস করে বাংলাদেশ সব দিক দিয়ে এগিয়ে যাবে এটা তারা কখনোই চায় না। তারা সবসময়ই চায় ছোট্ট বাংলাদেশ সবসময় তাদের আজ্ঞাবহ হয়ে থাকবে। অথচ দিনকেদিন উন্নয়নের প্রায় সকল সূচকে ভারতকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশের শরীরে সাম্প্রদায়িকতার দাগ লাগিয়ে দেওয়ার এই অপচেষ্টা!

তাছাড়া বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এদেশের সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, প্রশাসন, বিচার বিভাগ, পুলিশ প্রশাসন সর্বক্ষেত্রেই হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অন্যান্যরা সংখ্যাগুরু মুসলিম নাগরিকদের মতই সমান সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। মুসলমানরা কোন বর্ণভেদ প্রথা এবং জাত-পাতে বিশ্বাস করেন না। এদেশে পহেলা বৈশাখে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে উৎসব পালন ছাড়াও ঈদ ও পূজা-পার্বনে হিন্দু-মুসলিমরা পরস্পরকে শুভেচ্ছা জানান।

বাংলাদেশের এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মূলে ফাটল ধরাতেই হয়তো উঠেপড়ে লেগেছে তৃতীয় পক্ষটি!

আরেকটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২৭ জন প্রতিনিধির সাক্ষাতের কথা উল্লেখ থাকলেও তারা ২৪ জনের নাম প্রকাশ করেছে। এই ২৪ জন ১৭টি দেশ থেকে গিয়েছেন। এসব দেশের মধ্যে ইউরোপের দেশ জার্মানি, এমনকি নিউজিল্যান্ডের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। 

সবচেয়ে বেশি প্রতিনিধি ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে। এর মধ্যে আছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, চীন, মিয়ানমারের একাধিক প্রতিনিধি ছিলেন। চীন থেকে ৪ জন এবং পাকিস্তান থেকে ৩ জন ছিলেন।

কিন্তু রহস্যজনক বিষয় হলো, ভারতের কোনো প্রতিনিধিই সেখানে ছিলেন না! অথচ, সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে মুসলিম-খ্রিষ্টান সংখ্যালঘুদের নিপীড়িত হওয়ার ঘটনা নিয়মিত বিশ্ব মিডিয়ায় আলোচিত হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো, এমনকি মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ তাদের মানবাধিকার প্রতিবেদনে ভারতে উগ্রবাদী হিন্দুদের হাতে নিরপরাধ মুসলিমদের খুন হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ

এদিকে প্রিয়া সাহা যে অন্য কোনো রাষ্ট্র বা সম্প্রদায়ের দালাল তার প্রমাণ মেলে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রানা দাশগুপ্তর বক্তব্যে। 

তিনি বলেছেন, সংগঠন থেকে তিনজন প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, যেখানে প্রিয়া সাহার নাম নেই। কিন্তু ওই সম্মেলনে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের একজন জেনারেল সেক্রেটারি পরিচয়েই গিয়েছেন প্রিয়া সাহা।

মার্কিন গণতন্ত্র, রাজনৈতিক ও মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন ফ্রিডম হাউস ২৭ প্রতিনিধির তালিকা তুলে ধরেছেন। তালিকার ১৮ নম্বরে প্রিয়া বিশ্বাস সাহার নাম রয়েছে।

রানা দাশগুপ্ত বলেন, তার সংগঠন থেকে তিনজন প্রতিনিধিকে ওয়াশিংটনের ওই সম্মেলনে পাঠানো হয়েছিল। তারা হলেন, পরিষদের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অশোক বড়ুয়া ও নির্মল রোজারিও এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জী

তিনি বলেন, এর বাইরে আমাদের কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না। প্রিয়া সাহা আমাদের সংগঠনের ১১ জন সাংগঠনিক সম্পাদকের একজন। তবে তিনি ওই প্রতিনিধি দলে সদস্য ছিলেন না।

রানা দাশগুপ্ত বলেন, প্রিয়া যে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন, তা তিনি জেনেছেন শুক্রবার গণমাধ্যম থেকে। 

তাহলে তালিকায় যদি প্রিয়া সাহার নামই না থাকে তিনি সেখানে সকলের অগোচরে কিভাবে গেলেন? নিশ্চই শক্তিশালী কোনো তৃতীয় পক্ষের হাত রয়েছে এখানে?বিষয়টি গভীরভাবে ভেবে দেখা প্রয়োজন। 

এদিকে ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ সরকারও। প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, ভদ্রমহিলার নাম হলো প্রিয়া সাহা। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করে যেভাবে বলেছেন সারা বাংলাদেশ আজ বিস্ময় প্রকাশ করেছে। এ ধরনের ঘটনা আমি তো বটেই...আমি আজকে সাড়ে পাঁচ বছর হলো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ ধরনের কোনো ঘটনা আমরা কিন্তু জানি না।

তিনি আরো বলেন, ‘আমার মনে হয় এ ধরনের অসত্য খবর দেয়ার পেছনে নিশ্চয়ই একটা কারণ থাকতে পারে। তার একটা উদ্দেশ্য থাকতে পারে। সেই উদ্দেশ্যটা কী সেটাও দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা তাকে অবশ্যই জিজ্ঞাসা করব- কখন কোথায় কীভাবে হলো এটা? নিশ্চয়ই তিনি একটা উত্তর দেবেন, সেই অনুযায়ী আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।

এছাড়া প্রিয়া সাহার বক্তব্য আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রিয়া সাহা যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। 

ইতিমধ্যে তাকে আইনি প্রক্রিয়ায় আনতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। তার এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যোগাযোগ করছে। সমস্ত বক্তব্য তথ্য-প্রমাণ তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কে এই প্রিয়া সাহা?
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ -খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সাংগঠনিক সম্পাদক এ প্রিয়া সাহা। এছাড়াও তিনি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ‘শারি’-এর নির্বাহী পরিচালক হিসেবেও দায়িত্বরত ।

তার গ্রামের বাড়ী পিরোজপুর জেলার চরবানিরীর মাটিভাঙ্গা নাজিরপুর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন প্রিয়া। রোকেয়া হলে থাকতেন তিনি। প্রিয়া সাহা নামে পরিচিত হলেও তার প্রকৃত নাম প্রিয়া বালা বিশ্বাস।

পরিবারের সঙ্গে প্রিয়া সাহা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। তিনি ‘মহিলা ঐক্য পরিষদ’এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য গতবছর তাকে মহিলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

বর্তমানে ‘শারি’ এনিজিও সংস্থার মাধ্যমে প্রিয়া নিজ এলাকার দলিত সম্প্রদায়কে নিয়ে কাজ করেন।

এছাড়া ২০১৯ সালের ১২ জুন তিনি ‘দলিত কণ্ঠ’ নামের একটি মাসিক পত্রিকার ছাড়পত্র নেন। পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে তার নামই রয়েছে। কোটি কোটি টাকা বিদেশী অনুদান লুটপাটের আশাতেই তিনি এই পত্রিকাটিকে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন বলে জানিয়েছে কয়েকটি সূত্র।

‘দলিত কণ্ঠ’ সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে প্রিয়া সাহা অঙ্গীকারনামায় উল্লেখ করেছেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বার্থ বিরোধী কোনো সংবাদ তিনি পরিবেশন করবেন না। কিন্তু পত্রিকাটির ডিক্লারেশন পাওয়ার মাত্র ১ মাসের মধ্যেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে রাষ্ট্র বিরোধী বক্তব্য দিয়ে এসেছেন।

‘দলিত কণ্ঠ’ পত্রিকার ছাড়পত্র

তার স্বামী মলয় সাহা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক। কয়েক বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রিয়া সাহার দুই মেয়ে বসবাস করছেন। কিছুদিন পূর্বে সেখানে যান প্রিয়া সাহা।

এদিকে প্রিয়া সাহার দুই মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশুনা করার কারণে তাদের গ্রিনকার্ড পাইয়ে দেওয়া ও নিজে ওই দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার আশায় তিনি ট্রাম্পের কাছে এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন বলেও মনে করছেন অনেকে।

গো নিউজ২৪/আই

মতামত বিভাগের আরো খবর
নারীরা,মনের দাসত্ব থেকে আপনারা কবে বের হবেন?

নারীরা,মনের দাসত্ব থেকে আপনারা কবে বের হবেন?

আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস ও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা

আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস ও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা

সুচন্দার কষ্টে আমরাও সমব্যথী

সুচন্দার কষ্টে আমরাও সমব্যথী

প্রিন্টমিডিয়ার অন্তর-বাহির সংকট

প্রিন্টমিডিয়ার অন্তর-বাহির সংকট

সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানো দরকার যেসব কারণে

সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানো দরকার যেসব কারণে

সিলেটের শীর্ষ শিল্প উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

সিলেটের শীর্ষ শিল্প উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ