ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

৬০ পৌরসভায় নির্বাচন: জয়ী হলেন যারা


গো নিউজ২৪ | নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২১, ০৭:২৮ পিএম আপডেট: জানুয়ারি ১৭, ২০২১, ০৭:২৩ এএম
৬০ পৌরসভায় নির্বাচন: জয়ী হলেন যারা

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) দ্বিতীয় ধাপে দেশের ৬০টি পৌরসভার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। পরে গণনা শেষে বেসরকারিভাবে ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বেশিরভাগ পৌরসভায় জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। এ ছাড়া নির্বাচনী সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন বিএনপি সমর্থিত বিজয়ী কাউন্সিলর প্রার্থী।

১৬ জানুয়ারি মোট ৬১টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণের সূচি ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। তবে নীলফামারীতে মেয়র প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সেখানে ভোট স্থগিত হয়ে যায়। আর চারটি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় সেখানে ভোটের দরকার পড়েনি। ফলে মেয়র পদে ভোট অনুষ্ঠিত হয় মোট ৫৬টি পৌরসভায়।

এই ৫৬টির মধ্যে বেশিরভাগ পৌরসভায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ৪০টি পৌরসভায় জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী। চারটিতে জয় পেয়েছে বিএনপি। এছাড়া ৮টি পৌরসভায় জয়ী তালিকায় দুই দলের বিদ্রোহী, স্বতন্ত্র, জাপা, জাসদ (ইনু)-রসহ একজন দল নিরপেক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থীও রয়েছেন। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিজয়ীরা হলেন-

নোয়াখালীর বসুরহাট

জেলার বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল আলম জানান, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা ১০ হাজার ৭৩৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী কামাল উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন এক হাজার ৭৭৮ ভোট।

ফেনীর দাগনভূঞা

জেলার দাগনভূঞা পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ওমর ফারুক খাঁন বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নাছির উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, নির্বাচনে মেয়র পদে ওমর ফারুক খাঁন পেয়েছেন ৮ হাজার ২৩৪ ভোট। ফারুকের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির কাজী সাইফুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ৯৩৯ ভোট।

নাটোরের ৩টি পৌরসভা

নলডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে জেলায় প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার করা হয়, গোপালপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী রোকসানা মোর্ত্তজা লিলি প্রথমবারের মতো নারী মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন এবং গুরুদাসপুর পৌরসভায় বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

জেলা নির্বাচন অফিসার এবং গোপালপুর ও নলডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. আছলাম জানান, নলডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র পদে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মো. মনিরুজ্জামান মনির তিন হাজার ৬৩০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকের বিএনপির মো. আব্বাছ আলী পেয়েছেন এক হাজার ৯১০ ভোট। লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রোকসানা মোর্ত্তজা লিলি মোট ৬ হাজার ৫৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম বিমল রেল ইঞ্জিন প্রতীকে পাঁচ হাজার ১২৫ ভোট পেয়েছেন।

গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং গুরুদাসপুর পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার তমাল হোসেন জানান, নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান মেয়র শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা ৭ হাজার ৬৪০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুল ইসলাম বিপ্লব নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৪৪ ভোট।

কুমিল্লার চান্দিনা

মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শওকত হোসেন ভুঁইয়া বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। রিটার্নিং অফিসার ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোহা. জাহাঙ্গীর হোসেন ফলাফল ঘোষণা করেন। নৌকা প্রতীকে শওকত হোসেন ভুঁইয়া ৯ হাজার ৪৫১ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিন্দ্বদ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন জগ প্রতীকে তিন হাজার ১৫৫ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী শাহ্ মো. আলমগীর খান ধানের শীষ প্রতীকে ২ হাজার ৬৯৫ ভোট পেয়েছেন।

কুষ্টিয়ার ৪টি পৌরসভা

জেলা সদরসহ ৪টি পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে মিরপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাজী এনামুল হক ১০ হাজার ৪৬৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রার্থী গোলাম রাব্বানী ১ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়েছেন। ভেড়ামারায় পৌরসভায় জাসদ প্রার্থী আনোয়ারুল কবির টুটুল মশাল প্রতীক নিয়ে ৮ হাজার ২৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শামিমুল হক ছানা নৌকা প্রতীক নিয়ে ৫ হাজার ৬১৫ ভোট পেয়েছেন। কুমারখালী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী সামছুজ্জামান অরুণ নৌকা প্রতীকে নিয়ে ১০ হাজার ১১০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আনিচুর রহমান লালু ধানের শীষ প্রতীকে নিয়ে ২ হাজার ৩৮৬ ভোট পেয়েছেন।

বগুড়ার ৩টি পৌরসভা

মেয়র পদে সারিয়াকান্দিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মতিউর রহমান মতি বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌরসভায় মেয়র পদে বিএনপি প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু এবং শেরপুর পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব জানে আলম খোকা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সহকারি রিটার্নিং অফিসার। সারিয়াকান্দি উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসার সাখাওয়াত হোসেন জানান, সারিয়াকান্দি পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মতিয়ার মতি ৬ হাজার ৫৭৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর শাহী সুমন (নারিকেল গাছ প্রতীক) পেয়েছেন ২ হাজার ২৭৬ ভোট।

সান্তাহার পৌরসভার নির্বাচনে ৭ হাজার ৭৮৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আশরাফুল ইসলাম মন্টু পেয়েছেন ৭ হাজার ৪০২ ভোট। শেরপুর পৌরসভার নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব জানে আলম খোকা ৯ হাজার ২৬২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুস ছাত্তার পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৯ ভোট। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী স্বাধীন কুমার কুন্ডু পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৬৩ ভোট।

বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট

মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ আব্দুর রহমান বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার ফরাজি বেনজির আহমেদ জানান, মোংলা পোর্ট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী শেখ আব্দুর রহমান ১২ হাজার ১২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. জুলফিকার আলী ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৫৯২ ভোট। এ ছাড়া স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মোকছেদুর রহমান গামা পেয়েছেন ৩৩ ভোট।

মাগুরা

মাগুরা পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী খুরশীদ হায়দার টুটুল বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অলিউল ইসলাম জানান, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খুরশীদ হায়দার টুটুল ৩৯ হাজার ৪৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ইকবাল আখতার খান কাফুর ধানের শীষ প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ৭৩ ভোট।

বান্দরবানের লামা

লামা পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. জহিরুল ইসলাম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মো. রেজাউল করিম জানান, আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. জহিরুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে ৯ হাজার ৪০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী মো. শাহিন ধানের শীষ প্রতীকে ১ হাজার ৬২ ভোট।

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ

সন্দ্বীপ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মোক্তাদের মাওলা সেলিম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১৭ হাজার ৭১৬ ভোট। তার নিকটতম প্রদিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সমর্থিত ধানের শীষ প্রতীকের মো. আবুল বশার (জিএস বশার) পেয়েছেন ৭১১ ভোট।

মেহেরপুরের গাংনী

গাংনী পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আহম্মেদ আলী বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। গাংনী উপজেলার সহকারি রিটার্নিং অফিসার আবদুল আজিজ জানান, গাংনী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আহম্মেদ আলী ৯ হাজার ৪৬০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম ভেন্ডার (জগ প্রতীক) পেয়েছেন ২ হাজার ৬৫১ ভোট।

পাবনার ৪ পৌরসভা

জেলার চার পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ইভিএম পদ্ধতিতে দিনভর পাবনার ফরিদপুর পৌরসভায় ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খ. ম কামারুজ্জামান মাজেদ নৌকা প্রতীকে ৫ হাজার ২৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী এনামুল হক ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৩ শত ১২ ভোট।

সাঁথিয়া পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহবুবুল আল মবাচ্চু নৌকা প্রতীকে ১৬ হাজার ৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মল্লিক ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০ ভোট। ঈশ্বরদী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের ইসাহক আলী মালিথা পেয়েছেন ২৮ হাজার ৫৯২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নয়ন পেয়েছেন ২ হাজার ১৭০ ভোট। উপজেলা রিটার্নিং অফিসার, ইউএনও পিএম ইমরুল কায়েস এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ভাঙ্গুড়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম হাসনায়েন রাসেল বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও কমলগঞ্জ

কুলাউড়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। সিপার উদ্দিন আহমদ নৌকা প্রতীক নিয়ে ৪ হাজার ৮৩৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী শাজান মিয়া (জগ) পেয়েছেন ৪ হাজার ৬৮৫ ভোট, মো. শফি আলম ইউনুস বর্তমান মেয়র (নারিকেল গাছ) পেয়েছেন ২ হাজার ৯৯৪, বিএনপির প্রার্থী কামাল উদ্দিন আহমদ জুনেদ (ধানের শীষ) পেয়েছেন ১ হাজার ৭৭৬ ভোট। কমলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নৌকা মার্কা নিয়ে বর্তমান মেয়র জুয়েল আহমদ বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন, তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৫১ ভোট। আনোয়ার হোসেন (নারিকেল গাছ) পেয়েছেন ৩ হাজার ৩২৮, মো. হেলাল মিয়া (জগ) পেয়েছেন ২ হাজার ৬৪২, বিএনপির প্রার্থী মো. আবুল হোসেন (ধানের শীষ) পেয়েছেন ২৭৭ ভোট।

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী

জেলার নাগেশ্বরী পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেন ফাকু বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৯৭৪ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. আব্দুর রহমান পেয়েছেন ৯ হাজার ৩০৭ ভোট।

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী

জেলার ধনবাড়ী পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ধনবাড়ী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান বকল (নারিকেল গাছ) ১ হাজার ১৫৯ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৮ হাজার ৯৬৩ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন (নৌকা) ৭ হাজার ৮০৪ ভোট পেয়েছেন। শনিবার রাত সোয়া ৯ টার দিকে পৌর নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। এ ছাড়া বিএনপির প্রার্থী এসএমএ সোবহান (ধানের শীষ) ৩ হাজার ৫২ ভোট পেয়েছেন।

এর আগে প্রথম ধাপে গত ২৮ ডিসেম্বর ২৪টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ১৮টি পৌরসভায় জয়ী হন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্রার্থী জয় পান তিনটি পৌরসভায়। বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা জয়ী হন দুটি পৌরসভায়। আর ভোট শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় খুলনার চালনা পৌরসভা নির্বাচনের মেয়র পদের ফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়।

গত ২২ নভেম্বর সারাদেশে পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর তফসিল ঘোষণা করেন বলেন, ‘চার থেকে পাঁচটি ধাপে পৌরসভা নির্বাচন হবে। প্রথম ধাপের নির্বাচন ২৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু। আগামী বছরের মার্চ থেকে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন উপযোগী সব পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে।’

জাতীয় বিভাগের আরো খবর
টয়লেটসহ একাধিক সুবিধা নিয়ে দেশে আসছে ছাদখোলা দোতলা ট্যুরিস্ট বাস

টয়লেটসহ একাধিক সুবিধা নিয়ে দেশে আসছে ছাদখোলা দোতলা ট্যুরিস্ট বাস

‘রপ্তানিযোগ্য হারবাল প্রডাক্টের উৎপাদন প্রক্রিয়া ও মান উন্নয়ন’ প্রশিক্ষণ কর্মশালা

‘রপ্তানিযোগ্য হারবাল প্রডাক্টের উৎপাদন প্রক্রিয়া ও মান উন্নয়ন’ প্রশিক্ষণ কর্মশালা

পাঠ্যবইয়ের সংশোধনসহ সচিবদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

পাঠ্যবইয়ের সংশোধনসহ সচিবদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

শাহজালাল বিমানবন্দরে মাসুদের কাছে পাওয়া গেল ৩ কেজি সোনা

শাহজালাল বিমানবন্দরে মাসুদের কাছে পাওয়া গেল ৩ কেজি সোনা

ইজতেমায় এক বদনা পানি ১০ টাকা!

ইজতেমায় এক বদনা পানি ১০ টাকা!

হজে যাওয়ার মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না, দফায় দফায় সময় বাড়াচ্ছে মন্ত্রণালয়

হজে যাওয়ার মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না, দফায় দফায় সময় বাড়াচ্ছে মন্ত্রণালয়