ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘আ.লীগের ওপর এদেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস আছে’


গো নিউজ২৪ | নিজস্ব প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০, ০৪:৪৫ পিএম আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০, ১০:৪৫ এএম
‘আ.লীগের ওপর এদেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস আছে’

মানুষের আস্থা ও সমর্থন আছে বলেই সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা সম্ভব হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ওপর এদেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস আছে। যে কারণে তারা আমাদের বারবার নির্বাচিত করেছে বলেই তাদের সেবা করতে পেরেছি। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে পেরেছি বলেই উন্নয়নগুলো দৃশ্যমান হচ্ছে। উন্নয়নগুলো করতে পারছি যার সুফল দেশের মানুষ ভোগ করছে। 

শুক্রবার সকালে জাতির পিতার জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ প্রদান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় এ কথা বলেন তিনি। গণভবন থেকে ঐ আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন তিনি।

সরকার প্রধান বলেন, '৭৫ এর ১৫ আগস্ট যে ঘাতকের দল জাতির পিতাকে হত্যা করেছিলো, তার দোসর যারা, তারা এ দেশে কখনও স্থিতিশীল সরকার থাকুক তা তারা চায়নি, যার জন্য মাঝে মাঝেই চেষ্টা করে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। এ প্রচেষ্টা যখন চালায় তখন আমরা দেখি অগ্নিসংযোগ করে জীবন্ত মানুষকে হত্যা করা অথবা মানুষকে খুন করা অথবা নানাধরনের ঘটনা ঘটানো। আমাদের সব অবস্থাই মোকাবিলা করতে হয়।

তিনি বলেন, বিশ্বে করোনা ভাইরাস নামে এখন যে মহাদুর্যোগ চলছে, তা থেকে বিশ্ববাসী শিগগিরই মুক্তি পাক এটাই আমাদের আকাঙ্ক্ষা। মানুষ আবার সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারুক এটাই আমরা চাই। এই সময় আমাদের সাধারণত জাতিসংঘে থাকার কথা। কিন্তু যেতে পারিনি করোনা ভাইরাসের কারণে। প্রতিবার আমি জাতিসংঘে ভাষণ দিয়েছি। এবার আমার ১৭তম ভাষণ আমি দিতে পারছি না, এটা দুঃখজনক। আসলে জাতিসংঘে সব দেশের নেতাদের সঙ্গে দেখা হওয়ার একটা সুযোগ তৈরি হয়। পরস্পরের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হয়। একে অপরকে কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়, একে অপরকে জানতে পারি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি ভেবেছি, করোনা ভাইরাসের কারণে হয়তো বিশ্বে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। তাই সতর্ক ছিলাম বাংলাদেশে যেন কোনোভাবেই সেই দুর্ভিক্ষের প্রভাব না পড়ে। যতটুকু পারি খাদ্য উৎপাদন করা, খাদ্য বিতরণ করা, দরিদ্র মানুষকে বিনা পয়সায় খাদ্য দেওয়া এবং খাদ্যের নিশ্চয়তা দেওয়া, সেই প্রচেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, ওই দিনটিও শুক্রবার ছিল, তিনি বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন। তা যদি আমরা পর্যালোচনা করি, তিনি যে কথাগুলো বলেছিলেন, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দুর্যোগে যদি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এরজন্য সহযোগিতা করা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, মানুষের সামাজিক উন্নয়ন, গরিব মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন, রোগ-শোক মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়; জাতির পিতার দেখানো দেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলনীতি এখনও তার সরকার অনুসরণ করে তার সরকার দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে চলেছেন যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতীয় বিভাগের আরো খবর
টয়লেটসহ একাধিক সুবিধা নিয়ে দেশে আসছে ছাদখোলা দোতলা ট্যুরিস্ট বাস

টয়লেটসহ একাধিক সুবিধা নিয়ে দেশে আসছে ছাদখোলা দোতলা ট্যুরিস্ট বাস

‘রপ্তানিযোগ্য হারবাল প্রডাক্টের উৎপাদন প্রক্রিয়া ও মান উন্নয়ন’ প্রশিক্ষণ কর্মশালা

‘রপ্তানিযোগ্য হারবাল প্রডাক্টের উৎপাদন প্রক্রিয়া ও মান উন্নয়ন’ প্রশিক্ষণ কর্মশালা

পাঠ্যবইয়ের সংশোধনসহ সচিবদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

পাঠ্যবইয়ের সংশোধনসহ সচিবদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

শাহজালাল বিমানবন্দরে মাসুদের কাছে পাওয়া গেল ৩ কেজি সোনা

শাহজালাল বিমানবন্দরে মাসুদের কাছে পাওয়া গেল ৩ কেজি সোনা

ইজতেমায় এক বদনা পানি ১০ টাকা!

ইজতেমায় এক বদনা পানি ১০ টাকা!

হজে যাওয়ার মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না, দফায় দফায় সময় বাড়াচ্ছে মন্ত্রণালয়

হজে যাওয়ার মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না, দফায় দফায় সময় বাড়াচ্ছে মন্ত্রণালয়