ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

এনআরসির ভয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে অসংখ্য ভারতীয়


গো নিউজ২৪ | নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০১৯, ০৮:৩৩ পিএম
এনআরসির ভয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে অসংখ্য ভারতীয়

ভারতের আসাম রাজ্যে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) প্রকাশের জেরে অনেক ভারতীয় অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে বলে জানিয়েছে বিজিবি ও জেলা প্রশাসন। 

এনআরসিতে নাম না থাকায় নির্যাতনের ভয়ে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে অনেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে এবং আরো অসংখ্য ভারতীয় বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য সীমান্তে অপেক্ষা করছে বলে জানা গেছে।  তবে তাদের ঠেকাতে সীমান্তে কঠোর নজরদারি করছে বিজিবি।

জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহে এ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার সময় ২১৪ জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এর মধ্যে গত দুই দিনে আটক হয়েছে ১১ জন। আটকদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, ৩ জন নারী ও ৩ জন শিশু।

ভারত সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে স্থানীয় পর্যায়ে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহেশপুর উপজেলা প্রশাসন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন পরিষদগুলোর (ইউপি) চেয়ারম্যানদের নেতৃত্বে ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হবে। এসব কমিটি সীমান্ত এলাকায় অপরিচিত কোনো ব্যক্তি দেখলেই নিকটবর্তী বিজিবির সদস্যদের কাছে খবর পৌঁছে দেবে।

বিজিবি বলছে, আটক হওয়া ব্যক্তিদের বেশিরভাগই ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। আটকরা বিজিবিকে জানিয়েছে, ভারতে জাতীয় নাগরিক তালিকার (এনআরসি) আতঙ্ক ও নানা চাপের কারণে তারা ভারত ছেড়েছেন। মহেশপুর উপজেলায় ভারতীয় সীমান্ত এলাকা রয়েছে ৫৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে কাঁটাতার বিহীন এলাকা রয়েছে প্রায় ১১ কিলোমিটার। কাঁটাতারবিহীন এলাকা দিয়েই বেশি অনুপ্রবেশ হচ্ছে বলে বিজিবি ও পুলিশ জানিয়েছে।

বিজিবির হাতে আটক এক নারী জানান, মোদী যখন ঘোষণা করেছে এরা থাকবে না। এরপর থেকে আমরা যাদের বাড়িতে কাজ করতাম তাদের বাড়িতে সরকার লোক পাঠিয়েছে। সরকারের লোকজন বলেছে, দেখো তোমরা তো কাজ করো, তোমরা মুসলিম, বাংলাদেশি, তোমাদের কাজ করতে দেবে না। তাই এখন কি করা যাবে তোমরা যেখান থেকে এসেছো সেখানে চলে যাও। বাঙালি এখানে থাকবে না, তোমরা যদি আমার ধর্ম পালতে পারো তাহলে থাকতে পারো। তখন আমরা বলেছি তোমার ধর্ম পালতে পারবো না আমরা থাকবোও না।

আটক আরেক নারী বলেন, আমরা যেখানে থাকি, তারা বলছে আমরা তোমাদের আর ভারতে রাখতে পারবো না। শেষে আমরা ওই দেশের দালাল ধরে এ দেশে এসেছি। এপারে আসার পরে বিজিবি আমাদের ধরে এনেছে। আমাদের কোনো পাসপোর্ট ভিসা নেই। ভারতে যাওয়ার সময় পাসপোর্ট ছাড়াই গিয়েছিলাম অনেক বছর আগে।

মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) উপজেলা পরিষদের মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় অনুপ্রবেশকারীদের কথা তুলে ধরেছি। তখন বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয় সীমান্ত এলাকায় অনেক জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। এজন্য চেয়ারম্যান-মেম্বরসহ গ্রামের মানুষদের একত্রিত হয়ে সীমান্তে নজর রাখার কথা বলা হয়।

গো নিউজ২৪/আই

জাতীয় বিভাগের আরো খবর
টয়লেটসহ একাধিক সুবিধা নিয়ে দেশে আসছে ছাদখোলা দোতলা ট্যুরিস্ট বাস

টয়লেটসহ একাধিক সুবিধা নিয়ে দেশে আসছে ছাদখোলা দোতলা ট্যুরিস্ট বাস

‘রপ্তানিযোগ্য হারবাল প্রডাক্টের উৎপাদন প্রক্রিয়া ও মান উন্নয়ন’ প্রশিক্ষণ কর্মশালা

‘রপ্তানিযোগ্য হারবাল প্রডাক্টের উৎপাদন প্রক্রিয়া ও মান উন্নয়ন’ প্রশিক্ষণ কর্মশালা

পাঠ্যবইয়ের সংশোধনসহ সচিবদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

পাঠ্যবইয়ের সংশোধনসহ সচিবদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

শাহজালাল বিমানবন্দরে মাসুদের কাছে পাওয়া গেল ৩ কেজি সোনা

শাহজালাল বিমানবন্দরে মাসুদের কাছে পাওয়া গেল ৩ কেজি সোনা

ইজতেমায় এক বদনা পানি ১০ টাকা!

ইজতেমায় এক বদনা পানি ১০ টাকা!

হজে যাওয়ার মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না, দফায় দফায় সময় বাড়াচ্ছে মন্ত্রণালয়

হজে যাওয়ার মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না, দফায় দফায় সময় বাড়াচ্ছে মন্ত্রণালয়