সিলেটে শাহ জালালের (র.) মাজার জিয়ারত করে উদয়ন ট্রেনে ফিরছিলেন চাঁদপুরের হাইমচরের তিকশিকান্দির জাহাঙ্গীর হোসেন ও তার পরিবার। মঙ্গলবার মধ্য রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা মন্দবাগ এলাকায় যখন দুই ট্রেনের সংঘর্ষ হয়, তখন তারা ছিলেন উদয়ন ট্রেনের দশ নম্বর বগিতে।
দুর্ঘটনায় নিহত হন দুর্ঘটনায় নিহত হন জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী আমাতন বেগম (৩৫), মেয়ে মরিয়ম (৫), বোনের ছেলে মাঈনুদ্দিনের স্ত্রী কাকলী বেগম। দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন জাহাঙ্গীর হোসেন, ভাগনের শিশু সন্তান মাহিমা এবং বোন রাহিমা বেগম।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত অবস্থায় কাতরাচ্ছেন জাহাঙ্গীর। তার বাঁ পা ভেঙে কয়েক টুকরো হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তিনি চেতনা ফিরে পেলে পরিবার-পরিজনের খবর জানতে চান নার্সদের কাছে। কিন্তু নার্সরা তাকে পরিবারের খবর জানাননি। রাত সাড়ে আটটার দিকে জাহাঙ্গীরের পরিবারের নিহত তিনজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিছুক্ষণের জন্য আনেন তার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু জাহাঙ্গীরের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে তাকে তাদের মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি।
পরে তিনজনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় চাঁদপুরের হাইমচরে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আব্দুস সালাম জানিয়েছেন, জাহাঙ্গীরের অবস্থা ভালো না। ভেঙে যাওয়া স্থানে এখন অস্ত্রোপচার করা যাবে না, তার শরীর দুর্বল। এই মুহূর্তে জাহাঙ্গীরকে বেশি কথা বলতে দেওয়া যাবে না। তিনি মানসিক চাপে আছেন এবং শারীরিকভাবেও সে অনেক দুর্বল।
গো নিউজ২৪/আই