নিবন্ধনের আওতায় আসছে দেশের ১৮ বছরের কম বয়সী নাগরিকরা। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোটার হওয়ার অযোগ্য এসব নাগরিককে নিবন্ধনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র সরবরাহ করবে।
এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন হলে দেশের সব নাগরিক নিবন্ধনের আওতায় চলে আসবে। শূণ্য থেকে ১৮ বছরের কম বয়সী নাগরিকদের নিবন্ধন ও তাদের পরিচয়পত্র সরবরাহের জন্য আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বাজেট বরাদ্দেরও প্রস্তাব করা হয়েছে।
এতদিন ১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হতো।
সব মিলিয়ে আসন্ন ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জন্য ১৯২০ কোটি ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এরমধ্যে পরিচালন খাতে ৭৭৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ও উন্নয়ন খাতে ১১৪১ কোটি ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটে ইসির শূন্য হতে ১৮ বছর নাগরিকদের নিবন্ধন ও এনআইডি প্রদানসহ অন্তত ১১টি খাতে কর্মসূচি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।
অন্য খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে- ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি, সংসদের উপনির্বাচন, স্থানীয় সরকারের সাধারণ ও উপনির্বাচন, উন্নতমানের স্মার্ট জাতীয়পত্র প্রদান, ২ বছর মেয়াদী পেপার লেমিনেটেড পরিচয়পত্র প্রদান, ইভিএম প্রকল্পের আওতায় ৮২ হাজার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি ক্রয়, কর্মকর্তাদের দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণ, প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবাসেই নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান, এনআইডি তথ্য যাচাই এবং ইসির উন্নয়ন ও নির্বাচনি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। একপর্যায়ে অর্থমন্ত্রী অসুস্থতা বোধ করায় তার পরিবর্তে বাজেট বক্তৃতার বাকি অংশ পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গো নিউজ২৪/আই