ঢাকা: স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ সরিয়ে ফেলতে দুই বন্ধুকে সাড়ে ছয় হাজার টাকা দিয়েছিল পাষণ্ড স্বামী শাহজাহান মিয়া। সেই অনুযায়ী কাজও হয়। কিন্তু ধরা পরা ভয়ে ওই দুইজন স্থানীয়দের কাছে লাশ গুমের ঘটনা বলে দেয়। পরে স্বামী শাহজাহান মিয়াসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১।
গ্রেফতার বাকি দুইজন হলেন খোকন মিয়া ও মুকুল মিয়া। এরাই মরদেহ গুম করেছিলেন।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান র্যাব ১ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) সারোয়ার বিন কাশেম।
র্যাবের সিও কাশেম বলেন, গত ৩ তারিখে গাজীপুর ভাওরাইদ উত্তর পাড়া এলাকায়, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী আফরোজা বেগম (২৬) কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে শাহজাহান মিয়া। পরে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে বন্ধুদের সাড়ে ৬ হাজার টাকা দিয়ে সেপটিক ট্যাংকে তার স্ত্রীর লাশ ফেলে দেন।
শাহজাহান তার এক বন্ধু খোকনকে ৪ হাজার ও মুকুলকে ২ হাজার ৫০০ টাকা দিলে তারা সেপটিক ট্যাংকে লাশ ফেলে দেয়।
বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে, শাহজাহান আত্মগোপনে চলে যায়। এ ঘটনার শুরু থেকে গোয়েন্দা নজরদারি চালায় র্যাব। বৃহস্পতিবার রাতে ডেমরায় এলাকা থেকে শাজাহানকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরিকল্পিত হত্যার কথা স্বীকার করেছে শাহজাহান।
র্যাবের এই কর্মর্কতা আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহজাহান জানায়, দীর্ঘ ৮ বছর আগে ভিকটিম আফরোজার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। পরে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মাঝখানে ২০১৬ সালে তার স্ত্রী সৌদি আরব যায় এবং ৬ মাস আগে দেশে ফিরে আসে। তারপর থেকে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ তৈরি হয়।
গত ৩ জানুয়ারি পূর্ব ঘটনার জের ধরে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে শাহজাহান মিয়া রাগের বশবর্তী হয়ে স্ত্রী আফরোজা গলা টিপে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ খাটের নিচে রেখে দেয় শাহজাহান।
গো নিউজ২৪/এমআর