ঢাকা : নির্বাচন একমাস পেছানোর দাবি জানাতে বুধবার ইসিতে যাচ্ছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। তবে মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা স্পষ্ট করেই জানিয়েছে দিয়েছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পেছানোর আর কোনো সুযোগ নেই।
আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেয়া ব্রিফিংয়ে ভোট না পেছানোর পক্ষে দুটি যুক্তি তুলে ধরেন সিইসি। বলেন, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। এরপরে আর এটা পেছানোর সুযোগ নেই। কেন পেছানো যাবে না, নানা কারণে আপনাদের (রিটার্নিং কর্মকর্তা) এটা জানা দরকার।
তিনি বলেন, ‘প্রথমত, নির্বাচনের ৩০ দিনের মধ্যে সংসদ অধিবেশন বসতে হবে। আপনাদের কাছ থেকে ফলাফল আসবে। এর জন্য ২৯ দিন কিন্তু খুব বড় একটা সময় নয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ৩০০ আসনের গেজেট তাড়াতাড়ি সম্ভব হবে না।
দ্বিতীয়ত, টঙ্গীতে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা ১১ ডিসেম্বর বলে আমাদের চিঠি দেয়া হয়েছে। এখানে দেশের বিভিন্ন জেলা ও বাইরে থেকে মানুষ আসেন। বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। বিভিন্ন জেলা থেকে তাদের আনতে হয়, ৮-১০ দিন সময় লাগে। ১ থেকে ২ তারিখের মধ্যেই তাদের ঢাকায় আনতে হয়। আবার ঢাকা থেকে ফেরত পাঠাতে হয়। ৩০ তারিখ আমাদের জন্য অত্যন্ত কমপ্যাক্ট টাইম। এজন্য যে সময় দেয়া দরকার, সেটা আমরা বিভিন্ন কারণে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকেরা আমাদের বলেছিলেন, তাদের বড় দিনের আগে বা পরে ভোট করার। আমরা চেষ্টা করেছিলাম, এজন্য ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করে ২৩ ডিসেম্বর দিয়েছিলাম। এরপর সব রাজনৈতিক দল তফসিল পেছানোর অনুরোধ করল। আমরা খুশি হয়েছি। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ দিয়েছি। এটিকে সামনে রেখেই আপনাদের সার্বিক প্রস্তুতি নিতে হবে।
সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেজন্য সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। জাতিকে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে হবে। আপনাদের মাধ্যমেই এটা সম্ভব হবে বলে আমি আশা করি, প্রত্যাশা রাখি।
গো নিউজ২৪/আই