ঢাকা: পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে বিভিন্ন মহাসড়কে ধীরগতিতে চলছে দূরপাল্লার বাসগুলো, এছাড়া রাজধানী ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোও ছাড়ছে বিলম্বে।
রোববার সকালে কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে সব ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যেতে পারেনি। সকাল থেকে যে সংখ্যক ট্রেন স্টেশন থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা করেছে তার অনেকগুলোই সময়সূচি থেকে ৩০ মিনিট থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত দেরি করে ছেড়েছে।
কমলাপুরে ভোর থেকেই ট্রেনের সময়সূচি দেয়া মনিটরের সামনে দেখা গেছে যাত্রীদের জটলা, যা ট্রেন দেরি করার ফলে আরো বেড়েছে। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে, সকালে শুধু দু’টি ট্রেন ছাড়তেই বিলম্ব হয়েছে, এর বেশি নয়।
এ প্রসঙ্গে কমলাপুর রেল স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার শীতাংশু চক্রবর্তী বলন, সার্বিক অবস্থা মোটামুটি ভালো। সকাল থেকেই মোটামুটি ঠিক সময়েই ট্রেনগুলো রওনা দিতে পারছে। স্বতঃস্ফূর্তভাবেই যাত্রীরা যাত্রা করছেন। এবার যেভাবে সুশৃঙ্খলভাবে যাত্রীরা টিকিট কিনেছেন, ঠিক সেভাবেই সুশৃঙ্খলভাবে ট্রেনে চড়ছেন তারা।
রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১২টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যের জন্য স্টেশন ছেড়ে গেছে উল্লেখ করে স্টেশন ম্যানেজার বলেন, শুধু ধূমকেতু ও সুন্দরবনের রওনা দিতে একটু দেরি হয়েছে। বাকি সবগুলো মোটামুটি সময়মতো যাচ্ছে আসছে।
আরো পড়ুন: ২০ লাখের ‘কালো মানিক’
কমলাপুর স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, রোববার মোট ৬৮টি ট্রেন ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে ৩১টি আন্তঃনগর, চারটি ঈদ স্পেশাল, বাকি ট্রেনগুলো লোকাল ও মেইল সার্ভিস।
অন্যদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলছে খুবই ধীরগতিতে। রোববার ভোর থেকে মেঘনা সেতু ও কাঁচপুর ব্রিজের বিভিন্ন পাশে গাড়ির দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। কাঁপুর ব্রিজের পূর্ব পাশের ঢালে একটি সড়ক চলে গেছে চট্টগ্রাম মহাসড়কের দিকে, আরেকটি গেছে সিলেট মহাসড়কের দিকে। সেই দুই মহাসড়কের মোড়ে রোববার ভোর থেকেই যানবাহনের বিশাল জটলা রয়েছে।
কাঁচপুর ব্রিজ দুই লেনের এবং দুই পাশের সড়ক চার লেনের হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই এই স্থানটিতে সবসময়ই কমবেশি যানজট থাকে। ঈদ উপলক্ষে এর পরিমাণ বেড়েছে আরও বেশি। ঘরে ফেরা যাত্রীদের বেশিরভাগই ১৯ তারিখে টিকিট কাটায় রোববার থেকেই যানজট বেশি।
গো নিউজ২৪/এমআর