আগামী বছরই বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপালের (বিবিআইএন) মধ্যে যোগাযোগ পুরোদমে শুরু হচ্ছে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, এ যোগাযোগ চার দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের নতুন সেতুবন্ধন হয়ে কাজ করবে। এজন্য নিজেদের মধ্যে দেয়ালগুলো ভেঙে সম্পের্কের সেতু গড়তে হবে। মন্ত্রী দৃঢ় প্রত্যয়ে আরো বলেন, যেহেতু ভারতের সঙ্গে আমরা ৬৮ বছরের দেয়াল ভেঙে সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করতে পেরেছি, তখন আর কোনো কিছুতে সমস্যা হবে না।
সোমবার সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘বিবিআইএন ফ্রেন্ডশিপ মোটর র্যালি-২০১৫’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব আশার কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘এ চুক্তি বাস্তবায়নে হয়তো কিছু সমস্যা আছে, তবে হাতে হাত, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আমরা প্রস্তুত। এ যাত্রার মধ্য দিয়ে আমাদের বাণিজ্য, অর্থনীতি, যোগাযোগ, সংস্কৃতি- সবকিছুই বিনিময় হবে। চলুন, আমরা আরো অধিকতর যোগাযোগ বাড়াতে এ চার দেশকে সেতুবন্ধনে আবদ্ধ করি।’
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও বলেছেন, ছোটখাট বিভেদ, সমস্যা থাকাটা স্বাভাবিক, আমরা এটিকে উতরে যাব। চার দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের এ পথটি নতুন বছরে মালামাল পরিবহন ও ব্যক্তিগত সফরের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যে জার্নি আজ আমরা শুরু করেছি, তা চার দেশের মানুষের মধ্যে বন্ধুত্ব ও যোগাযোগের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে। সাময়িক কোনো অসুবিধায় এ উদ্যোগ বন্ধ হয়ে যাবে না।’
বিদেশি অতিথিদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, এখানে ট্রাফিকের সমস্যা আছে, তবে বর্তমানে আবহাওয়া বেশ ভালো। এ সময় অতিথিদের ইলিশ মাছের স্বাদ উপভোগ করতে বলেন মন্ত্রী।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ‘এনহান্সিং রিজিওনাল কানেক্টিভিটি : স্ট্যাটাস অব ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারটির আয়োজন করে।
সেমিনারে চার দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ন্যাশনাল ল্যান্ড ট্রান্সপোর্ট ফ্যাসিলিটেশন কমিটির সদস্য, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) প্রতিনিধি, বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। ইতোমধ্যে চার হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছে এ র্যালি।
জা/আ