ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঈদ আনন্দ


গো নিউজ২৪ | নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০১৮, ১২:৩১ পিএম
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঈদ আনন্দ

ঢাকা : সারা দেশের মতো উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরেও উদযাপিত হচ্ছে ঈদ। কষ্টের মধ্যে থাকলেও বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন রোহিঙ্গারা। শিশু–কিশোর থেকে শুরু করে বড়রা পর্যন্ত নিজেদের সবচেয়ে ভালো পোশাকটা পরেই নামাজ আদায় করেছেন। 

শনিবার (১৬ জুন) সকাল আটটায় উখিয়ার কুতুপালং ডি-ফোর মরকদ মসজিদে ঈদ জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক। এই মসজিদে প্রায় চার হাজার রোহিঙ্গা ঈদের জানাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে রোহিঙ্গারা যাতে তাদের হারানো অধিকার ও ভিটেবাড়ি ফিরে পেয়ে স্বদেশে ফিরে যেতে পারেন—এ কামনা করা হয়। এ সময় অনেকে জোরে জোরে কাঁদতে থাকেন অনেকেই।

নামাজ শেষে সকাল নয়টার দিকে শতাধিক রোহিঙ্গা জড়ো হয়ে ক্যাম্পের ভেতরেই মিছিল করেন। ওই সময় তারা স্লোগান দেন, আমরা আর বাস্তুহারা হয়ে থাকতে চাই না, আমরা আমাদের নাগরিক অধিকার ও যাবতীয় ধন–সম্পদ ফিরে পেতে চাই। তাহলে আমরা মিয়ানমারে চলে যাব।

এদিকে ঈদ উপলক্ষ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যে যার সামর্থ্য মতো খাবার রান্না করেছেন। কোনো কোনো শিশু ঈদের নতুন জামা পেয়েছে। কেউবা পুরোনো সবচেয়ে ভালো জামাটা পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শিশুরা একে অপরের সঙ্গে খেলায় মেতেছে। বিভিন্ন জায়গায় শিশুদের আনন্দ দেওয়ার জন্য খোদ রোহিঙ্গারাই নাগরদোলার আয়োজন করেছেন। শিশুরা বেশ আনন্দ নিয়ে সেসব নাগরদোলায় চড়ছে।

ঝুপড়ি ঘরের গৃহিণী নাম প্রকাশ না করে বলেন, আমার স্বামী বলি বাজার এলাকার চেয়ারম্যান ছিলেন। কিন্তু ভিটেবাড়ি–ধনসম্পদ ছেড়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসতে হয়েছে আমাদের। এভাবে ঈদ হবে, জীবনে কখনো কল্পনাও করিনি। তারপরও খোলামেলাভাবে এখানে নামাজ আদায় করতে পারায় আমরা মহান আল্লার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। কারণ, ওই দেশে দুই–তিন বছর ধরেও মাইক দিয়ে আজান দেওয়া সম্ভব ছিল না।

মিয়ানমারের মংদুর নাকফুরা এলাকার গৃহিণী ছিলেন মমতাজ বেগম। তিনি তার বাচ্চা ও আত্মীয়স্বজনের আপ্যায়নের এক কেজি সেমাই রান্না করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের আর কিছু করার সামর্থ্য নেই। গত বছর রুটি ও গরুর মাংস রান্না করেছিলাম। ওই খাবার আমার বাচ্চাদের খুব পছন্দ। তবে এবার বাচ্চাদের জন্য কষ্ট করে এই সেমাই রান্না করেছি। তিনি জানান, তার স্বামী পাহাড় কাটা শ্রমিক হিসেবে কাজ করে কিছু টাকা পেয়েছিলেন। তাই দিয়েই ঈদের রান্না করেছেন তিনি।

উখিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নিকারুজ্জামান বলেন, উখিয়া উপজেলায় এক হাজারের বেশি মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন রোহিঙ্গারা। তাদের মধ্যে আনন্দের ভাব ছিল। এবং কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।


গো নিউজ২৪/আই

জাতীয় বিভাগের আরো খবর
টয়লেটসহ একাধিক সুবিধা নিয়ে দেশে আসছে ছাদখোলা দোতলা ট্যুরিস্ট বাস

টয়লেটসহ একাধিক সুবিধা নিয়ে দেশে আসছে ছাদখোলা দোতলা ট্যুরিস্ট বাস

‘রপ্তানিযোগ্য হারবাল প্রডাক্টের উৎপাদন প্রক্রিয়া ও মান উন্নয়ন’ প্রশিক্ষণ কর্মশালা

‘রপ্তানিযোগ্য হারবাল প্রডাক্টের উৎপাদন প্রক্রিয়া ও মান উন্নয়ন’ প্রশিক্ষণ কর্মশালা

পাঠ্যবইয়ের সংশোধনসহ সচিবদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

পাঠ্যবইয়ের সংশোধনসহ সচিবদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

শাহজালাল বিমানবন্দরে মাসুদের কাছে পাওয়া গেল ৩ কেজি সোনা

শাহজালাল বিমানবন্দরে মাসুদের কাছে পাওয়া গেল ৩ কেজি সোনা

ইজতেমায় এক বদনা পানি ১০ টাকা!

ইজতেমায় এক বদনা পানি ১০ টাকা!

হজে যাওয়ার মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না, দফায় দফায় সময় বাড়াচ্ছে মন্ত্রণালয়

হজে যাওয়ার মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না, দফায় দফায় সময় বাড়াচ্ছে মন্ত্রণালয়