রাজধানীতে দুই বাসের টক্করে হাত হারানোর পর তিতুমীর কলেজর নিহত ছাত্র রাজীব হোসেনের দুই ভাইকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
একই সঙ্গে ৩০ জুনের মধ্যে হাইকোর্টের গঠিত তদন্ত কমিটির মাধ্যমে দুর্ঘটনার প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদেস্যর আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
আদালতে বাস মালিকদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আবদুল মতিন খসরু ও এ বি এম বায়েজীদ। তাদের সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মুনীরুজ্জামান। অন্যদিকে, রাজীবের পরিবারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে বিআরটিসির করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষ করার পর আজ এ আদেশ দেয়া হলো। আদেশে রায় স্থগিত করে এ দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে হাইকোর্টকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যে কমিটি আগামী ৩০ জুনের মধ্যে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিল করবে।
গত ৮ মে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রাজীবের দুই ভাইকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের মালিককে নির্দেশ দেন।
বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের মালিক প্রত্যেককে ২৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে এক মাস সময় বেধে দেন হাইকোর্ট। কিন্তু গত ১০ মে বিআরটিসি ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল আবেদন করে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় দুই বাসের রেষারেষিতে হাত কাটা পড়ে কলেজ ছাত্র রাজীবের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
গো নিউজ২৪/এমআর