ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাবলির শেষ চিঠি, মৃত্যুর জন্য হৃদয়কে দায়ী


গো নিউজ২৪ | শামসুল ইসলাম সহিদ, মির্জাপুর প্রতিনিধি: প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮, ০৯:১৪ পিএম
বাবলির শেষ চিঠি, মৃত্যুর জন্য হৃদয়কে দায়ী

এসএসসি পরীক্ষার্থী মেহিয়া আক্তার বাবলি আত্মহত্যার আগে তার মাকে লেখা শেষ চিঠিতে মৃত্যুর জন্য হৃদয় নামে এক ছেলেকে দায়ী করে গেছেন। 

বাবলি মৃত্যুর আগে একটি চিরকুট এই কথা লিখে গেছে।  যেখানে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য হৃদয় দায়ী। স্যরি আম্মু, মাফ করে দিও।

মেহিয়া আক্তার বাবলি ভারতেশ্বরী হোমস থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল। দুটি পরীক্ষা বাকি থাকা অবস্থায় বাবলি বুধবার রাতে মির্জাপুর উপজেলা সদরের বাইমহাটী গ্রামের লোকমান হোসেনের ভাড়া বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।

উল্লেখ্য, জন্মের ছয় মাসের মাথায় বাবলীকে অ্যাসিড পান করিয়ে হত্যা করতে চেয়েছিল তার বাবা। কিন্তু সে যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। এর ১৭ বছর পরে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে অবশেষে আত্মহত্যা করলেন এসএসসি পরীক্ষার্থী সেই মাহিয়া আক্তার বাবলী। 

শুধু মেয়ে হয়ে জন্মানোর কারণেই জন্মের ছয় মাসের মাথায় বাবলির মুখ, কান, পা ও পায়ুপথে ওষুধ খাওয়ার ড্রপারে করে পাঁচ দিন ধরে অ্যাসিড ঢেলে দিয়েছিলেন বাবা।

এতে শারীরিকভাবে দারুণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলেন – কথাও বলতে পারতেন না ঠিকমত।

এদিকে ত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে বাবলির মা পারুল বেগম বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় বাবলির সহপাঠী আছিয়া আক্তার জয়া, তার মা ফাতেমা আক্তার সুমি ও হৃদয়কে আসামি করা হয়েছে।

মির্জাপুর থানা পুলিশ এ মামলায় বাবলির সহপাঠী জয়ার মা ফাতেমা আক্তার সুমিকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়।

জানা গেছে, মেহিয়া আক্তার বাবলি ও তার সহপাঠী আছিয়া খাতুন জয়া ভারতেশ্বরী হোমসের ছাত্রী। জয়া বিক্রমপুরের লৌহজং এলাকার কলাপাড়া গ্রামের রফিক মিয়ার মেয়ে। মেহিয়া আক্তার বাবলির মা পারুল বেগম ঢাকায় পার্লারের ব্যবসা করেন। স্বামী পরিত্যক্তা পারুল বেগম দ্বিতীয় স্বামী নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন।

গত মঙ্গলবার বাবলির মা ফোনে জয়ার মা ফাতেমাকে ১৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে বাবলিকে ঢাকায় তার কাছে পাঠাতে বলেন। পরে ফাতেমা বেগম বাবলিকে টাকা দিলে বিকেল ৩টায় ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়।

বুধবার সন্ধ্যায় বাবলি মির্জাপুরের ভাড়া বাসায় ফিরে আসে এবং ড্রেস পরিবর্তনের কথা বলে মোবাইলে কথা বলতে বলতে তার কক্ষে ঢুকে। সময় বেশি নেয়ায় ফাতেমা ও তার মেয়ে জয়ার সন্দেহ হয়। পরে বাসার মালিককে খবর দিলে দরজা ভেঙে বাবলির ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান তারা। 

খবর পেয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশ বাবলির মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

রোববার সকালে বাসার মালিক বাবলির ফাঁসি দেয়া কক্ষটি পরিষ্কার করতে গেলে বাবলির ক্লাসের একটি খাতা দেখতে পান। পরে খাতার পাতা উল্টে একটি চিরকুট পান। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য হৃদয় দায়ী। স্যরি আম্মু.... মাফ করে দিও।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) খোকন কুমার সরকার বলেন, চিরকুট পাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনো হাতে পাইনি। চিরকুট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

গো নিউজ২৪/আই
 

জাতীয় বিভাগের আরো খবর
টয়লেটসহ একাধিক সুবিধা নিয়ে দেশে আসছে ছাদখোলা দোতলা ট্যুরিস্ট বাস

টয়লেটসহ একাধিক সুবিধা নিয়ে দেশে আসছে ছাদখোলা দোতলা ট্যুরিস্ট বাস

‘রপ্তানিযোগ্য হারবাল প্রডাক্টের উৎপাদন প্রক্রিয়া ও মান উন্নয়ন’ প্রশিক্ষণ কর্মশালা

‘রপ্তানিযোগ্য হারবাল প্রডাক্টের উৎপাদন প্রক্রিয়া ও মান উন্নয়ন’ প্রশিক্ষণ কর্মশালা

পাঠ্যবইয়ের সংশোধনসহ সচিবদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

পাঠ্যবইয়ের সংশোধনসহ সচিবদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

শাহজালাল বিমানবন্দরে মাসুদের কাছে পাওয়া গেল ৩ কেজি সোনা

শাহজালাল বিমানবন্দরে মাসুদের কাছে পাওয়া গেল ৩ কেজি সোনা

ইজতেমায় এক বদনা পানি ১০ টাকা!

ইজতেমায় এক বদনা পানি ১০ টাকা!

হজে যাওয়ার মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না, দফায় দফায় সময় বাড়াচ্ছে মন্ত্রণালয়

হজে যাওয়ার মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না, দফায় দফায় সময় বাড়াচ্ছে মন্ত্রণালয়