ঢাকা : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে করা আপিলের শুনানির জন্য আগামী বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে এ মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হয়। (আপিল নং ১৬৭৬/২০১৮)।
বিশেষ আদালতের দেয়া সাজার বিরুদ্ধে আপিলে খালেদা জিয়ার খালাস চেয়ে বলা হয়েছে, যে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খালেদার সাজা হয়েছে ওই টাকা এখনও ব্যাংকে রয়েছে।
রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে মোট ২৫টি যুক্তি দেখানো হয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো- যে অভিযোগে খালেদা জিয়াকে দণ্ড দেয়া হয়েছে সেটা দুর্নীতির মধ্যে পড়ে না।
আপিলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম।
আপিলে ৬০ পৃষ্ঠার মূল আবেদনের সঙ্গে ১২২৩ পৃষ্ঠার নথিপত্র জমা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৫বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এ মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১০ বছর কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন মামলার বিচারক ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান।
মামলার অন্যান্য ৫ আসামীকেও ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সাজা প্রাপ্ত অন্য আসামীরা হলেন- সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান। মামলায় শুরু থেকে পলাতক আছেন তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।
রায়ে সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেকের ২কোটি ১০লক্ষ ৭১ হাজার টাকা সমপরিমান জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে।
গো নিউজ২৪/আই