ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নারী ও পুরুষের গোপনাঙ্গের সংজ্ঞার খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন


গো নিউজ২৪ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০১৬, ১০:৫৪ পিএম আপডেট: ডিসেম্বর ১২, ২০১৬, ০৬:১২ এএম
নারী ও পুরুষের গোপনাঙ্গের সংজ্ঞার খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

 

মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে নারী ও পুরুষের গোপনাঙ্গের সংজ্ঞা নির্ধারণ করে তৈরি আইনের খসড়া। এই সংজ্ঞা অনুযায়ী গোপনাঙ্গের  কতটুকু অংশের ছবি ও ভিডিও গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে তা-ও নির্ধারণ করা হয়েছে। 

সোমবার(২২.০৮.২০১৬) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৬’ নামের আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে নারী-পুরুষের গোপনাঙ্গের সংজ্ঞাও নির্ধারণ করা হয়েছে।

‘গোপনীয়তা লঙ্ঘনের পরিস্থিতির ক্ষেত্র’ বলতে আইনের ১৭ নম্বর ধারার ৪(ঘ) উপধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো পরিস্থিতিতে কোনো ব্যক্তির যুক্তিসঙ্গত প্রত্যাশা থাকিতে পারে যে-(অ) কোনো ব্যক্তি গোপনীয়ভাবে অনাবৃত হইতে পারেন, এমতাবস্থায় তাহার ব্যক্তিগত এলাকায় তাহার নজর এড়িয়ে চিত্রবন্দী করা হইয়াছিল। অথবা (আ) সরকারি বা ব্যক্তিগত জায়গা নির্বিশেষে কোনো ব্যক্তি তাহার ব্যক্তিগত এলাকার এমন কোনো অংশে ছিল যাহা জনসাধারণের নিকট দৃশ্যমান হইবে না।’

আইনে গোপনীয় ছবি প্রেরণের বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘ইলেকট্রনিক উপায়ে কোনো দৃশ্যমান ছবি প্রদর্শিত করিবার অভিপ্রায়ে কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমূহের নিকট প্রেরণ করা।’

‘দৃশ্য ধারণ’ বিষয়ে আইনে বলা হয়েছে, ‘যেকোনো উপায়ে ভিডিও টেপ, আলোকচিত্র, ফিল্ম বা রেকর্ড করা।’

আইনে অপরাধ ও সাজা

নীতিগত অনুমোদন পাওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৬-এর ১৭ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে অন্য কোনো ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া তাহার ব্যক্তিগত ছবি তোলে এবং প্রকাশ করে বা প্রেরণ করে বা বিকৃত করে বা ধারণ করে তাহা হইলে এমন কার্য ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে অপরাধ হইবে।’

আইনের একই ধারার ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি যদি এই আইন বা তদাধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের কোনো বিধানের অধীন কোনো ইলেকট্রনিক রেকর্ড, বই, রেজিস্টার, পত্র যোগাযোগ, তথ্য, দলিল বা অন্য কোনো বিষয়বস্তুতে প্রবেশাধিকারপ্রাপ্ত হইয়া, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সম্মতি ব্যতিরেকে, কোনো ইলেকট্রনিক রেকর্ড, বই, রেজিস্টার, পত্র যোগাযোগ, তথ্য, দলিল বা অন্য কোনো বিষয়বস্তু অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট প্রকাশ করেন, তাহলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ।’

উল্লিখিত ধারার ১ নম্বর উপধারায় বর্ণিত অপরাধের জন্য সাজা নির্ধারণ করে বলা হয়েছে, ‘উপধারা ১-এর অধীনে কোনো অপরাধ করিলে তিনি অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ডে বা অনধিক ১০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’

উপধারা ২-এ দণ্ডের বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘এই ধারার অধীনে কোনো ব্যক্তি কোনো অপরাধ করিলে তিনি অনধিক দুই বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’

পর্নোগ্রাফি ও শিশু পর্নোগ্রাফির দণ্ড

পর্নোগ্রাফি ও শিশু পর্নোগ্রাফি রোধে  আইনের ১৮ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা ডিজিটাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি বা অশ্লীল উপাদান উৎপাদন বা প্রকাশ করলে কিংবা সংরক্ষণ করলে অথবা এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করলে, বিজ্ঞাপনদাতা কর্তৃক পর্নোগ্রাফি বা অশ্লীল উপাদানসমূহ বিতরণ বা প্রদর্শন করলে এই আইন লঙ্ঘন হবে। এর দায়ে কোনো ব্যক্তির এক বছর কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে।

১৮ ধারার ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা কোনো ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা ডিজিটাল ডিভাইস, ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে শিশু পর্নোগ্রাফি বা শিশু সম্বন্ধীয় অশ্লীল উপাদান উৎপাদন বা প্রকাশ বা সংরক্ষণ বা বিতরণ বা প্রদর্শন করলে বা এগুলোতে শিশু পর্নোগ্রাফি বা এ ধরনের অশ্লীল উপাদান প্রবেশ করলে আইন অনুযায়ী অপরাধ হবে। সে অপরাধে কোনো ব্যক্তির ১০ বছর কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে।

আইনে এসব অপরাধের বিচার বিদ্যমান সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তির কথা বলা হয়েছে। অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির বিধান রাখা হয়েছে।

শিশু পর্নোগ্রাফি রোধে কঠোর বিধানের কথাও বলা হয়েছে খসড়া এই আইনে।  প্রস্তাবিত আইনের ১৭ নম্বর ধারার ৪ (গ) উপধারায় বলা হয়েছে, ‘গোপনীয় অঙ্গ অর্থ নগ্ন বা অন্তর্বাস পরিহিত যৌনাঙ্গ, যৌনাঙ্গের আশপাশ, নিতম্ব বা মহিলার স্তন।’

 

গো নিউজ ২৪/এসকে 

জাতীয় বিভাগের আরো খবর
টয়লেটসহ একাধিক সুবিধা নিয়ে দেশে আসছে ছাদখোলা দোতলা ট্যুরিস্ট বাস

টয়লেটসহ একাধিক সুবিধা নিয়ে দেশে আসছে ছাদখোলা দোতলা ট্যুরিস্ট বাস

‘রপ্তানিযোগ্য হারবাল প্রডাক্টের উৎপাদন প্রক্রিয়া ও মান উন্নয়ন’ প্রশিক্ষণ কর্মশালা

‘রপ্তানিযোগ্য হারবাল প্রডাক্টের উৎপাদন প্রক্রিয়া ও মান উন্নয়ন’ প্রশিক্ষণ কর্মশালা

পাঠ্যবইয়ের সংশোধনসহ সচিবদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

পাঠ্যবইয়ের সংশোধনসহ সচিবদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

শাহজালাল বিমানবন্দরে মাসুদের কাছে পাওয়া গেল ৩ কেজি সোনা

শাহজালাল বিমানবন্দরে মাসুদের কাছে পাওয়া গেল ৩ কেজি সোনা

ইজতেমায় এক বদনা পানি ১০ টাকা!

ইজতেমায় এক বদনা পানি ১০ টাকা!

হজে যাওয়ার মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না, দফায় দফায় সময় বাড়াচ্ছে মন্ত্রণালয়

হজে যাওয়ার মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না, দফায় দফায় সময় বাড়াচ্ছে মন্ত্রণালয়