অবসরের সময় জানিয়ে দিলেন ওয়ার্নার


স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৩, ০৫:০১ পিএম
অবসরের সময় জানিয়ে দিলেন ওয়ার্নার

২০১১ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে টেস্ট খেলছেন ডেভিড ওয়ার্নার। গত দেড় বছরের মতো বাজে সময় যায়নি। গত বছর বক্সিং ডে টেস্টে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নিজের শততম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি করেন। এই ভোগান্তিকর সময়ের মধ্যে ওই একটা ইনিংস ছিল বলার মতো। ফর্মে ভাটার কারণে ভারতের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজের দলে অনিশ্চিত অস্ট্রেলিয়ার এই ওপেনার। যদিও এখনও তাকে দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ মনে করেন কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড। তার ভরসা না হারালেও টেস্ট ক্যারিয়ারের সূর্যাস্ত দেখতে পাচ্ছেন বাঁহাতি ব্যাটার। লাল বলের ক্রিকেট ছাড়ার দিনক্ষণও ঠিক করে ফেলেছেন তিনি। আসছে অস্ট্রেলিয়ান সামারে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের পরিকল্পনা তার।

ওয়ার্নার এখন ইংল্যান্ডে। ৭ জুন দ্য ওভালে ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল। তারপরই শুরু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজ। চলতি বছর অক্টোবরে ওয়ানডে বিশ্বকাপও খেলার ইচ্ছা তার। আগামী বছর জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজ ঘরের মাঠ সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে খেলে টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানতে চান ওয়ার্নার।

সেই পথ ধরে আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলবেন বলে ঘোষণা অজি ব্যাটারের। অবশ্য পাকিস্তানের বিপক্ষেও নতুন বছরের টেস্ট সিরিজের দলে জায়গা পাবেন কি না, তার কিন্তু নিশ্চয়তা নিজেও দিতে পারছেন না ৩৬ বছর বয়সী ব্যাটার।

অবশ্য আসন্ন অ্যাশেজই যে ওয়ার্নারের শেষ অ্যাওয়ে টেস্ট, সেটা নিশ্চিত। শনিবার বেকহ্যামে অস্ট্রেলিয়ার ট্রেনিং সেশনের আগে তিনি বললেন, ‘আপনাকে বড় রান করতে হবে। আমি সবসময় বলেছি যে (২০২৪ টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপই হতে যাচ্ছে আমার শেষ খেলা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি এটা আমার ও আমার পরিবারের প্রাপ্য। আমি যদি এখানে রান করতে পারি, অস্ট্রেলিয়ায় ফিরেও খেলতে পারি, তবে নিশ্চিতভাবে বলতে পারি আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজ (টেস্ট) সিরিজ খেলছি না। এই অবস্থা (টেস্ট ফাইনাল ও অ্যাশেজ সিরিজ) উতরাতে যদি পারি এবং পাকিস্তান সিরিজে খেলতে পারি, তখনই ক্যারিয়ারের ইতি টানবো।’

সবশেষ ভারতে টেস্ট খেলে ইনজুরিতে দেশে ফেরার আগে তিন ইনিংসে মাত্র ২৬ রান করেন ওয়ার্নার। গত ১৫ ইনিংসে মাত্র একবার পঞ্চাশ ছাড়ান, ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই ইনিংসকে দুইশর ঘরে নেন বাঁহাতি ওপেনার। ইংল্যান্ডে কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার। তবে কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড তাকে নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কোচ জানান, ইংল্যান্ডে ওয়ার্নারের প্রভাবশালী ব্যাটিং দেখবেন। অ্যাশেজের প্রথম দুটি ম্যাচের স্কোয়াডে থাকলেও নির্বাচক জর্জ বেইলি তাকে প্রথম একাদশে রাখার ব্যাপারে কথা দিতে পারছেন না। উসমান খাজার সঙ্গে ওপেনিংয়ে জুটি গড়তে ওয়ার্নারের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই রিজার্ভ ওপেনার মার্কাস হ্যারিস ও ম্যাট রেনশ।

তবে ম্যাকডোনাল্ড দৃঢ় কণ্ঠে জানিয়েছিলেন, ওয়ার্নারের বিকল্প নিয়ে ভাবছেন না তারা, ‘ডেভের মধ্যে যা আছে, তাতে আমরা আশাবাদী। আমরা তাকে স্কোয়াডে নিয়েছি এবং আমাদের বিশ্বাস অ্যাশেজ ও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে সে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে, আর এজন্যই সে আমাদের সঙ্গে বিমানে উঠবে।’

ইংল্যান্ডের মাটিতে ২০১৯ সালে সবশেষ সিরিজে যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্স করে সমালোচিত হন ওয়ার্নার। ১০ ইনিংস খেলে গড় ছিল ৯.৫০, যা অ্যাশেজ সফরে কোনও ওপেনারের সবচেয়ে বাজে। ওইবার স্টুয়ার্ট ব্রডের কাছে সাতবার উইকেট হারান বাঁহাতি ব্যাটার। কিন্তু ২০১৫ সালে ইংলিশদের মাটিতে পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরিতে ৪৬.৪৪ গড়ে করেন ৪১৬ রান। এবারও সেই একই ওয়ার্নারকে দেখার প্রত্যাশা ভক্তদের। কারণ এটাই দেশের বাইরে তার শেষ টেস্ট সিরিজ!

গোনিউজ২৪/আর এ জে

খেলা বিভাগের আরো খবর