‘রিখটার স্কেল’ সম্পর্কে আমাদের জানা আছে কতটা!


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৮, ০৩:২৭ পিএম
‘রিখটার স্কেল’ সম্পর্কে আমাদের জানা আছে কতটা!

ভূকম্পীয় ঢেউ হল ভূমিকম্প থেকে নির্গত কম্পন যা পৃথিবীর ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয় ; এক ধরণের গ্রাহকযন্ত্রে এই ঢেউ নিবেশিত হয় যার নাম সাইসমোগ্রাফ(seismograph)। সাইসমোগ্রাফ আঁকাবাকা নিদর্শন লিপিবদ্ধ করে যার থেকে যন্ত্রের নীচের ভূকম্পনের পরিধি মাপা সম্ভব হয় । সুক্ষ সাইসমোগ্রাফ ভূকম্পনের গতি বিবর্ধিত(magnify)করতে সক্ষম যার ফলে পৃথিবীর যে কোনও স্থানের ভূকম্পন ধরতে পারে ।

সাইসমোগ্রাফ আবিষ্কার করেন ক্যালিফর্নিয়া ইন্স্টিটিউট অফ টেক্নোলজির চার্ল্স এফ. রিখটার, ১৯৩৫ খ্রীস্টাব্দে, একটি আঙ্কিক যন্ত্র হিসাবে ভূকম্পনের মাত্রা তুলনা করার জন্য । ভূকম্পনের মাত্রা নির্ধারিত হয় লগ স্কেলে (logarithmic scale) ; বিভিন্ন সাইসমোগ্রাফ যন্ত্র এবং ভূকম্পনের উপকেন্দ্রের দূরত্বের ব্যতিক্রম নিয়মিত করা যায় এই যন্ত্রে ।

রিখটার -স্কেলে মাত্রা দেখানো হয় পূর্ণ সংখ্যা ও ভগ্নাংশ দ্বারা । উদাহণস্বরূপ, ৫.৩ মাত্রা বোঝাবে সাধারণ ভূকম্পন যখন ৬.৩ বলতে বোঝাবে ভারী ভূকম্পন । যেহেতু লগ-স্কেল ব্যবহৃত হচ্ছে, পূর্ণসংখ্যার ১ বৃদ্ধি নিরুপন করে মাত্রার দশগুণ বৃদ্ধি । অন্যদিকে শক্তির হিসাবে প্রতিটি পূর্ণসংখ্যার বৃদ্ধি দেখাবে ৩১-গুণ শক্তি-বৃদ্ধি ।

প্রায় ২.০ বা তার নীচের মাত্রার ভূকম্পনকে বলা হয় মাইক্রো-ভূকম্পন ; এটি সাধারণতঃ মানুষ বুঝতে পারে না, তবে স্থানীয় সাইসমোগ্রাফ-যন্ত্রে ধরা পরে । প্রতি বছরেই ৪.৫ বা তার বেশি মাত্রার ঘটনা ঘটে থাকে কয়েক হাজারের মত- যা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের সুক্ষ যন্ত্রে ধরা পরে । বড় ভূকম্পন হয়েছিল ১৯৬৪ সালে- আলাস্কার গুড ফ্রাইডে ভূকম্পন, যার মাত্রা ছিল ৮.০ ও তার বেশি । রিখটার স্কেলের কোনও ঊর্ধসীমা নেই ।

ভূকম্পনের ক্ষতি রিখটার স্কেলে মাপা যায়না । একই মাত্রার ভূকম্পন জনবহুল স্থানে অনেক ক্ষতি করতে পারে, আবার জনহীন স্থানে তা' কেবল পশুপাখীর ভীতির সঞ্চার করে । সমুদ্রের তলায় ভূকম্পন মানুষের গোচরে আসে না বললেই চলে । 

 

আবিষ্কার : ১৯৩৫ খ্রীষ্টাব্দ
বিজ্ঞানী : চার্ল্স এফ. রিখটার

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের আরো খবর